টেকনাফে ২১ লক্ষ টাকা পাওনা চাইতে গেলে দিচ্ছে মৃত্যুর হুমকি

গবাদী পশু ব্যবসার নামে টাকা নিয়ে এক ব্যবসায়ীর ২১ লক্ষ টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের টেকনাফের মোস্তাক নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো সশস্ত্র সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে মেরে ফেলার অপচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন মোস্তাকের বিরুদ্ধে পাওনাদার কক্সবাজার সদরের ব্যবসায়ী মুফিজ।

ব্যবসায়ী মুফিজ বার্তা বাজারকে জানান, সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া, কচুবনিয়া এলাকার শরিফের ছেলে মোস্তাক, ২০১৮ সালের শেষ দিকে মুফিজের নিকট হতে আত্মীয়তার সূত্র ধরে তার পরিবারের সদস্যদের স্বাক্ষী রেখে ২১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মিয়ানমারের সাথে গবাদী পশু ব্যবসার জন্য নেয়। ব্যবসার প্রথম মাসে দেড় লক্ষাধিক টাকা লাভের হিসেব দিলেও পরবর্তীতে কোন লাভের মুখ দেখাতে পারেনি। এভাবে এক বছর গত হলে হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে টাকা ফেরত চাইলে মিয়ানমার ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা আটকে আছে বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। স্থানীয় ভাবে শালিশে টাকা ফেরত দিতে বল্লেও এসবের তোয়াক্কা করছেনা প্রতারক মোস্তাক।

সাবরাং ইউপি সদস্য মো. শরীফ গবাদী পশু ব্যবসার জন্য টাকা দেয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা বাজারকে জানান, বিষয়টি কোন ভাবে সমাধানের পথ না দেখে গত বছর অক্টোবর নাগাদ তার কাছে অভিযোগ করলে তিনি নয়াপাড়া এলাকার ইউওপি সদস্য জাফর ও অভিযুক্ত মোস্তাক কে ডেকে এলাকার গণ্যমান্য মানুষসহ বৈটকে বসেন। উক্ত বৈটকে জাফর মেম্বার ১০ লাখ দেয়ার প্রস্তাব দিলে বৈটকে তা প্রত্যাক্ষান হয়।

ইউপি সদস্য জাফর বার্তা বাজারকে বলেন, মোফিজ মোস্তাকের নিকট গবাদী পশু ব্যবসা বাবদ টাকা পাচ্ছে সেটা সত্য। কিন্তু মোস্তাকের দাবী সেলিমের কাছে সমস্ত টাকা রয়ে গেছে। এদিকে সেলিমের দাবী মোস্তাক তার কাছ থেকে কোন টাকা পাওনা নেই। তাছাড়া মোস্তাকের বিভিন্ন বিতর্কিত লেনদেন সম্পর্কেও তিনি বিরূপ মন্তব্য করেন।

মুফিজ বার্তা বাজারকে আরো জানান, পরবর্তীতে টাকা জন্য মোস্তাকের বাড়িতে গেলে সে পালিয়ে বেড়ায়। ফোন করলে সেলিম নামের এক ব্যক্তি টাকা মেরে দিয়েছে বলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। অবশেষে গত বছর নভেম্বরে নয়াপাড়া এলাকায় মোস্তাকের কাছে টাকা চাইতে গেলে মোস্তাক একই এলাকার আমিনের ছেলে আবদুস সালাম মিলে পিস্তল দেখিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়। এই বিষয়টি কক্সবাজারের সদ্য বিদায়ী ডিসি কামাল হোসেন অবগত আছেন।

এদিকে স্থানীয়দের দাবী, মোস্তাক বিগত সময়ে আদম পাচারে জড়িত ছিলো। যুবলীগ নেতা উসমান হত্যা মামলার আসামী সাকের, কেফায়াত ও নজির ডাকাতের ভাই সেলিমসহ মিলে কাটাবুনিয়া ঘাট দিয়ে ইয়াবার চালান খালাসের সাথে জড়িত ছিলো। ইয়াবার চালান খালাস কালে ২ লক্ষ পিস ইয়াবা গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিয়মিত জুয়া ও নারী নিয়ে ফুর্তি তার পেশাতে পরিনত হয়েছে। এছাড়াও বছর খানেক আগে গবাদী পশু ব্যবসার আড়ালে মিয়ানমারের এক ইয়াবা কারবারীর কাছে মোটা অংকের অর্থ লগ্নি করে লোকসানে রয়েছে বলে এলাকায় চাউর রয়েছে।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর