অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারিয়েছে ভারত

বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারিয়েছে ভারত। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩২৮ রানের লক্ষ্য পাড়ি দেয়ার রেকর্ড রয়েছে। আর সেই রেকর্ড ২০০৭ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। আইরিশদের রেকর্ড ভেঙে রোববার ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ ছিল নতুন রেকর্ডকীর্তি গড়ার। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা তা হতে দেননি।

ভারতের দেয়া ৩৫৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩..রান করতে সক্ষম হয় অজিরা্ দলের হয়ে সর্বোচ্চ (৬৯) করেন স্টিভেন স্মিথ। হাইভোল্টেজ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩৫৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে ভারত। টসে জিতে আগে ব্যাট করে শেখর ধাওয়ানের (১১৭), রোহিত শার্মা ও বিরাট কোহলির অর্ধশতকের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান সংগ্রহ করে ভারত।

লন্ডনের কেনিংটন দ্য ওভালে স্টেডিয়ামে চলতি বিশ্বকাপের ১৪তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো অস্ট্রেলিয়া বোলারদের শাসন করতে থাকেন ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত শার্মা ও শিখর ধাওয়ান। ২২.৩ ওভারে দুজনে প্রথম উইকেট জুটিতে তোলেন ১২৭ রান। ৭০ বলে ৩ চার ও এক ছয়ে ৫৭ রান করে কোল্টার নেইলের বলে অ্যালেক্স কেরির তালুবন্দি হয়ে ফেরেন রোহিত শার্মা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ৯৩ রানের জুটি গড়েন ধাওয়ান। ৯৪ বলে ধাওয়ান তুলের নেন এই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। তবে সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস বেশ লম্বা করতে পারেননি তিনি। ৩৭ ওভারের মাথায় মিচেল স্টার্কের বলে নাথানয় লায়নের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধাওয়ান। ১০৯ বলে ১৬ চারে করেন ১১৭ রান। বিরাট কোহলি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৯তম হাফসেঞ্চুরি।. বলে ৭৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৮২ রান করেন বিরাট। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ২৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির ১৪ বলে ২৭ রানের সুবাধে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান সংগ্রহ করে ভারত।

অস্ট্রেলিয় বোলারদের মধ্যে পেট কমিন্স ও মার্কোস স্টোয়নিস ২টি এবং মিচেল স্টার্ক একটি উইকেট শিকার করেন। ভারতের দেয়া ৩৫৩ রানেরে পাহাড়সম লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে দারুণ শুরু করে অজিরা। ওপেনিং জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারণ ফিঞ্চ মিলে ১৩.১ ওভারে তোলেন ৬১ রান। ৩৬ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান ফিঞ্চ। ৭৭ বলে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি তুলে নেন ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে স্মিথের সাথে ৭২ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৫৬ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে ভুবেনশ্বর কুমারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তৃতীয় উইকেট জুটিতেও খাজা-স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। ৪২ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে যান খাজা। খাজা আউট হলে বেশি সময় টিকতে পারেননি স্মিথও। ৭০ বলে ৫ চার ও এক ছয়ে ৬৯ রান করে ভুবেনশ্বরের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন স্মিথ। ২৩৮ রানের মাথায় তার আউটে দল পড়ে যায় বিপর্যয়ে। তখনও দলের প্রয়োজন ১০ ওভারে ১১৫ রান। মাঠে ম্যাক্সওয়লই ছিলেন একমাত্র ভরসা। ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে ফিরে যান স্টয়নিস। তার আউটের পর ম্যাক্সওয়েলও ১৪ বলে ২৮ রান করে চাহালের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। দরের ঝড় তোলার মুহূর্তে কোল্টার নেইল ৪ ও পেট কমিন্স ৮ রান করে ফিরে গেলে হারের দিকে হেলে যায় অজিরা্। শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মাঝে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স কেরি ২৫ বলে ৫০ রানের সুবাধে ৫০ ওভারে .. রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় অজিরা। আর তাতে ..রানে জয় পায় ভারত।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ ৩টি, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ভুবেনশ্বর কুমার ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ১০৯ বলে ১১৭ রান করে ম্যাচ সেরা হন ভারতীয় অলরাউন্ডার শিখর ধাওয়ান।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর