চুরির মামলা থেকে রক্ষা পেলেন ডা. জাফরুল্লাহ

সাভারের আশুলিয়া এলাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান কলেজে চুরি ও ভাঙচুরের মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অব্যহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। পরে তার নামে আনা অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না থাকায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

দাখিল করা চার্জশিটে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশিরসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী।

কিছুদি আগে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই হারুন অর রশিদ। কিন্তু এরপরই বাদীপক্ষ আদালতের কাছে সময় চেয়ে নারাজি আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে আগামী ২৬ জানুয়ারি নারাজি আবেদন ও চার্জশিট গ্রহণের জন্য শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হারুন অর রশিদ চার্জশিটে উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড আইনের ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০০/৫০৬ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলো।

তবে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরেক আসামি লেহাজের সঠিক নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এজন্য ডা. জাফরুল্লাহ ও লেহাজকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির প্রার্থনা জানাচ্ছি। আসামি লেহাজকে গ্রেফতার করা গেলে বা নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ জুলাই আশুলিয়ায় কানাডিয়ান কলেজে চুরি ও ভাঙচুরের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি ডা. জাফরুল্লাহসহ ১৬ জনের নামে থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর