ঈদযাত্রায় সড়কে প্রাণ গেল ৫৬ জনের

এবারের ঈদে সড়কে প্রাণ গেছে অর্ধশতের বেশি। বেপরোয়া ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালকের কারণে হতাহতের হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তারপরও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কে প্রাণহানি শূন্যের কৌঠায় নামিয়ে আনতে সবপক্ষকে আরো আন্তরিক ও কঠোর হতে হবে।

প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান শতাধিক মানুষ। এবার ঈদযাত্রায় এর সংখ্যা কতো তার সঠিক হিসেব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সংস্থা বলছে, গেলো ২ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত সাতদিনে ঈদযাত্রায় সারাদেশের সড়কে প্রাণ গেছে ৫৬ জনের।

দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বুয়েটের এই গবেষক বলছেন, আগের বছরের চেয়ে এবার সড়কে মৃত্যু কমেছে এটা বলার সুযোগ নেই। সরকারি তদারকি সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়ানো না গেলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামবে না বলেও মনে করেন তিনি।

বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘এবার মহাসড়কে যানজট কম ছিল তাতে গাড়ির গতি ছিলো। এবারে গড়ে প্রতিদিন ১২ জনের মত মারা গিয়েছে।’

যদিও নিরাপদ সড়ক নিয়ে কাজ করা ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, এবার সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। ফিটনেস বিহীন গাড়ি, লাইসেন্স বিহীন চালক এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ হলে মৃত্যুর সংখ্যা আরো কমবে।

নিরাপদ সড়ক চাইয়ের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যতটা স্বস্তি-দায়ক হওয়ার কথা ছিল ততটা স্বস্তি-দায়ক হয়নি। অন্য বারের তুলনায় কম মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধরে নিতে পারি। গাড়ির ফিটনেস না থাকলে চালকের ফিট না থাকলে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারাবেই। মালিক এবং চালকের আরেকটু বেশি সচেতন হওয়া দরকার।’

সেতুমন্ত্রী বলছেন, এবারের ঈদযাত্রা ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ছিলো। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবারের মত স্বস্তিদায়ক ঈদ যাত্রা দেশের ইতিহাসে হয়নি।’
সড়কে মৃত্যু কমাতে বাস মালিক,পরিবহন শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১১১ দফা সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর