কার্ড পেলেও ৪ বছরে ভাতা পাননি প্রতিবন্ধী কিশোরী

চরফ্যাশনে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পেলেও ৪ বছরে ভাতা পাননি ষোড়শী তানজু বেগম। উপজেলার দুলাহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জেলে মোঃ হারুনের মেয়ে প্রতিবন্ধী তানজুর পরিবারের অভিযোগ খরচের টাকা দিতে না পারায় মিলছেনা ভাতা। ভাতা পাওয়ার আসায় এলাকার অনেক গণ্যমান্য চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে ধরনা দিয়েও কাজ হয়নি। কেউ কোন সহযোগিতা করেনি।

তানজু বেগমের মা সালমা বেগম জানান, ওর বাবা মোঃ হারুন পেশায় জেলে। প্রতিবন্ধী এক মেয়েসহ তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন তারা। জন্মের পর থেকে তানজুর হাত পা একেবারেই অচল, কিছু ধরতে পারেনা এবং নিজে হাটতে পারেনা। অভাব অনটনের সংসারে প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসার পিছনে অনেক টাকা ব্যায় হয়েছে, কোন লাভ হয়নি। এই মেয়ের চিকিৎসা করাতে ভিটে বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব পরিবার। স্বামীর কিডনিতে সমস্যা তেমন কোন কাজ করতে পারেনা। স্বামী পেশায় জেলে হলেও ভাগ্যে জোটেনি জেলে কার্ড কিংবা জেলে ভাতা।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কছে ধরনা ধরে মেয়ের নামে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড হলেও ৪ বছরে ভাতা মেলেনি। মেয়ে এখন বড় হয়েছে। মেয়েকে এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় নিতে সমস্যা হয়। তাকে যদি একটা (হুইল) চেয়ার দিতো, তাহলে খুবই ভালো হতো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, আমার কাছে প্রতিবন্ধী মেয়েটির পরিবারের কেউ এখনো পর্যন্ত আসেনি। আসলে ভাতার ব্যবস্থা করে দিবো।

নুরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, এ প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার উপযোগী মেয়েটি। তার প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করবো।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা(অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব)মামুন হোসেন জানান, ২০১৬ সনে সীমিত আকারে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের সীমাবন্ধতার
কারণে অনেকেই ভাতা পাননি। গত বছর থেকে নতুন করে বর্ধিত আকারে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করা যায়, প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা এবছর থেকে ভাতার আওতায় আসবেন। যারা ভাতা বঞ্চিত আছেন তারা পুর্বের কার্ড নিয়ে সমাজ সেবা অফিসে আসলে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর