রিচার্ডসের পরামর্শে অবসরের সিদ্ধান্ত বদলালেন শচীন

ক্রিকেট মক্কায় বিশ্ব ক্রিকেটের আসরে ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি। উঠে এলে এক যুগ আগের কথা। ক্যারিবীয়ানে ২০০৭ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের কাছে হেরে লিগ পর্যায়েই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত। সমালোচনা সহ্য করতে না-পেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন শচীন টেস্ডুলকার।কিন্তু ক্যারিবীয়ান কিংবদন্তি তথা ‘কিং অফ ক্রিকেট’ স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস অবসর না-নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন লিটল মাস্টারকে।

রিচার্ডসের পরামর্শে অবসরের সিদ্ধান্ত সরে এসেছিলেন শচীন। রোববার লন্ডনে ইন্ডিয়া টুডে-র স্যালাম ক্রিকেট ২০১৯ ইভেন্টে দুই কিংবদন্তির আলোচনায় উঠে এল এই তথ্য। তার ভাই অজিত টেন্ডুলকার ও রিচার্ডসের পরামর্শ অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন শচীন।তার পর ৬ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন শচীন।

অবশেষে ২০১৩ মুম্বাইয়ে অর্থাৎ নিজের শহরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন শচীন।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যবনিকা ঘটেছিল শচীন যুগের।

দুই যুগ আন্তজার্তিক ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ানো শচীন বলেন, ‘২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ভারত লিগ পর্যায়ে ছিটকে যাওয়ার পর যা ঘটেছিল, যা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য মোটেও সুখকর ছিল না। আমাদের কিছু পরিবর্তনের দরকার ছিল। কিন্তু সেটা না-হলে আমি অবসর নেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অবসর নেওয়ার বিষয়টি ৯০ শতাংশ ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ চলাকালীনই আমার ভাই বলে, ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল রয়েছে মুম্বাইয়ে। সুন্দর ট্রফিটা হাতে ধরে রয়েছো, সেটা কল্পনা করতে পারছ না।’

এছাড়াও শচীন আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর আমি যখন ফার্মহাউজে ছিলাম, তখন স্যার ভিভের ফোন পাই। তখনই ভিভ বলে আমার মধ্যে এখনও অনেক ক্রিকেট বাকি রয়েছে। আমাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয়।এটা আমার কাছে ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত। কারণ আমার ব্যাটিং হিরো আমাকে ফোন করে খেলা চালিয়ে যেতে বলছে।তার পর সিদ্ধান্ত বদল করি।’

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর