দেয়াল টপকে ও গ্রিল ভেঙে সেফহোম থেকে ৪ তরুণীর পলায়ন
ফরিদপুরে কিশোরী ও নারী হেফাজতীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র বা সেফ হোম থেকে পালিয়েছে ৩ কিশোরী ও এক তরুণী। শুক্রবার ভর চারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তবে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র’। এটি শহরের টেপাখোলা মহল্লার এলাকায় সোহরাওয়ার্দী লেকপাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার ভোরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই নারী আনসার সদস্য ঘুমিয়ে থাকায় ওই ৪ জন গ্রিল ভেঙে দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়াদের মাঝে রাজবাড়ী আদালত থেকে আসা এক তরুণী (২১) ছাড়াও গোয়ালন্দ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন আছেন। তাছাড়া গোপালগঞ্জ থেকে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীও আছেন, অপর কিশোরী (১৭) শরীয়তপুর থেকে এসেছিল।
তাঁরা সবাই কিশোরী বয়সে ভবঘুরে হিসেবে উল্লিখিত জেলা ও উপজেলায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে এ সেফ হোমে আসেন। তাঁদের মধ্যে গোয়ালন্দ থেকে আসা তরুণী এখানে ২০১৫ সাল থেকে ছিলেন। বাকিরাও তিন কিংবা চার বছর ধরে ছিলেন। তাঁদের আইনগত অভিভাবক না পাওয়ায় আদালত তাঁদের সেফ হোমে প্রেরণ করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই সেফ হোমের উপতত্ত্বাবধায়ক রুমানা আক্তার বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত দুই আনসার সদস্য ঘুমিয়ে থাকার কারণে পালিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে।, এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।পালিয়ে যাওয়া তরুণী ও কিশোরীদের উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বার্তাবাজার/এসজে