পাকুন্দিয়ায় ১০ বছর ধরে জাল সনদে চাকরি করছে ২ শিক্ষক

নকল করে অন্য জনের সনদ নিজের বলে চালিয়ে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় নিজেদের নিযুক্ত করেছিলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার দুই উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক। উভয়েই আবার কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষাদান করে এসেছেন।

এই দুই শিক্ষকের মাঝে একজন ১০ বছর এবং অপরজন তার চেয়ে এক বছর কম সময় ধরে চাকরি করে নিয়ম মাফিক বেতন ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) যাচাইকালে ধরা পড়ে যায় তাদের বিশাল প্রতারণার কথা।

দীর্ঘদিন পরে তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ৷ পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

এনটিআরসিএ সূত্র জানা যায়, ২০১০ সালে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়িওনের চর পলাশ উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরের বছর একই ইউনিয়নের হরশী উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসাবে তারা উভয়েই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

চরপলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ শামসুল আলম। তিনি মোহাম্মদ মনির হোসেন নামের অন্য এক ব্যক্তির সনদ জাল করে নিজের নাম বসানো সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন।

আবার হরশী উচ্চবিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের নাম মো. মফিজ উদ্দিন। তিনি জাল করেছেন শাহীদুল ইসলাম নামের অন্য এক ব্যক্তির সনদ।

এ ব্যাপারে চর পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ের অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুল আলম এবং হরশী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মফিজ উদ্দিন জানান, চাকরি পেতে তাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এছাড়া এসব সনদ তাদের নয় বলেও জানান তারা।

চর পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম বলেন, তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের অনেক আগেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।

অপরদিকে হরশী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম দীর্ঘ আলাপচারিতায় গণমাধ্যমের কাছে ওই সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বাণিজ্যের কথা স্বীকার করেন। ৬-৭ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে চাকরি দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বার্তাবাজার/এসজে/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর