এরফান সেলিমের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বর

মাদক মামলায় এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২০ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। এজন্য প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান।

সূত্রমতে, গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি মোটরসাইকেলটি থামিয়ে এরফান সেলিমের গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা গাড়ি থেকে নেমে একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন লেফটেন্যান্টের স্ত্রীকে ।

২৬ অক্টোবর সকালে এ ঘটনায় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এরফান সেলিমকে মাদক রাখার দায়ে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।

এরপর ২৮ অক্টোবর র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে।

বার্তা বাজার/কে.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর