মুরাদনগরে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি, ২ লক্ষ শিশুর টিকাদান অনিশ্চিত

‘ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মুরাদনগর উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক অ্যাসোসিয়েশন টেকনিকেলদের পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধনের দাবীতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই কর্মসূচী শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত চলমান রয়েছে। এতে করে মুরাদনগর উপজেলার প্রস্তাবিত এমআর ক্যাম্পেইনসহ প্রায় ২লক্ষ শিশুর (এমআর ক্যাম্পেইনে ১লক্ষ ৭২হাজার, ১মাস থেকে ১১মাস বয়সী প্রায় ২০হাজার) হাম রুবেলা টিকার ডোজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মুরাদনগরে ৪৪জন স্বাস্থ্য সহকারী ও ১৮জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং ৩জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক থাকলেও তাদের আজও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ বিনয় কুমার দেব জানায়, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন কর্মচারীরা।

তাদের দাবি, নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬ তম থেকে যথাক্রমে ১১, ১২, ও ১৩তম গ্রেডে উন্নতি করতে হবে।

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন মুরাদনগর শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারীরা শিশুদের ১০টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের টিকা দেয় কিন্তু আমাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই কিছু যৌক্তিক দাবি আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরেছিলাম। ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন আমাদের টেকনিক্যাল মর্যাদা দেওয়া হবে, তা ২২ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের দাবী না মানা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন মুরাদনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল বায়জিদ প্রমুথ।

বার্তাবাজার/এম.এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর