এমপি আসলামের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ইকোনমিক জোন উচ্ছেদে বাধা নেই

মাইশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। দেড়শ বিঘা সরকারি খাস সম্পত্তি দখল করে এ প্রতিষ্ঠান দুটি নির্মিত হয়েছে বলে নদী কমিশন দাবী করেছে।

তার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৩ ও ৪ মার্চ নদী দখল করে গড়ে তোলা এ প্রতিষ্ঠানগুলোর অবৈধ অংশে উচ্ছেদ চালাতে গেলে যৌথ জরিপের দাবি তুলে তাতে বাধা দেন প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক এমপি আসলাম।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠান দুটির বৈধতা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট আটটি সংস্থার সুপারিশ নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে নদীরক্ষা কমিশন। এতে অবৈধ প্রতিষ্ঠান দুটি উচ্ছেদে আর কোন বাধা নেই। বিআইডব্লিউটিএ যে কোনও দিন কমিশনই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে উচ্ছেদে যাবে।

এদিকে যৌথ জরিপ করে নদী দখল বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় নদী কমিশন, নৌমন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থাকে নিয়ে সাংসদ আসলামুলের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত ও রাষ্ট্রবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছেন নদী কমিশনের চেয়ারম্যান।

নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান বলেন, দখল করার পর তিনি যে আচরণ দেখছেন; আমি মনে করি সেটা সংযত করা উচিত। সেইসাথে সরকারি সংস্থা নিয়ে একজন সাংসদের এমন মন্তব্যকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। এটা তো রাষ্ট্রবিরোধী বটে এ ধরনের আচরণ ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ। এটা নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে কথা বলা পদের অপব্যবহার।

চলতি বছরের ৩ ও ৪ মার্চ তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা দখল করে গড়ে তোলা মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোনের অবৈধ অংশে উচ্ছেদ চালাতে গেলে যৌথ জরিপের দাবি তুলে তাতে বাধা দেন প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক এমপি আসলাম।

তার দাবি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ৮টি প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন ও দফায় দফায় সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ জরিপ করে নদী কমিশন প্রতিবেদনে জানায়, মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোন নদীর দেড়শ বিঘা জায়গা দখল করে রেখেছে। তবে এমপি আসলাম সংস্থাগুলোকে প্রতিপক্ষ আখ্যায়িত করে এবারও প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে বিআইডব্লিউটিএ, নৌমন্ত্রণালয় ও নদী কমিশনকে নিয়ে বিষোদগার করেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কারও প্রতিপক্ষ নয়। সরকার থেকে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে; সেটা পালন করতেই হবে।

বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদের আগে আদালতের বিষয়গুলো আরও যাচাই করার কথা বললেও নদী কমিশন বলছে, তার কোনও প্রয়োজন নেই।

নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, এটি উচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালত ও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের বাধা নেই। তুরাগের মিরপুরে অংশেও এমপি আসলামের বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ রয়েছে।

 

বার্তা বাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর