মুরাদনগরে বেতন-বোনাস পেলেন না মাদ্রাসার ৮শ শিক্ষক-কর্মচারী

মো. নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার এমপিওভুক্ত ২৯টি মাদ্রাসার প্রায় ৮শত শিক্ষক কর্মচারী ও তাদের বেতন ও বোনাস না পেয়ে পরিবারে ঈদ আনন্দ নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে অর্থ ছাড়ের পরেও বেতন বোনাস না পাওয়ায় জন্য জনতা ব্যাংক কোম্পানীগঞ্জ শাখার ব্যাবস্থাপকের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক নেতারা। শিক্ষক নেতারা বলেন ব্যাংক কর্মকর্তার অসহযোগিতার কারনে বেতন বোনাস উত্তোলন করতে না পাড়ায় আনন্দের ঈদ হতাশায় পরিণত হতে চলছে আটশত পরিবারের। নিজের জন্য না হলেও তাদের পরিবারে সদস্যদের জন্য নতুন কাপড় কেনাও হয়ে ওঠেনি এখনো।

মুরাদনগর উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক কমিটির সভাপতি মাওঃ তাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, আমরা মুরাদনগর উপজেলার এমপিওভুক্ত ২৯টি মাদ্রাসার বেতন ও বোনাসের কপি জমা দিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে জনতা ব্যাংক কোম্পানীগঞ্জ শাখায় যাই। সেখানে শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ আমাদের কাগজ জমা না নিয়ে উল্টো আমাদের সাথে খারাপ আচরন করেন।

আমাদের বেতন বোনাসের অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে ছাড় হলেও ব্যাংক ম্যানেজার আমাদের বেতন বোনাস দেয়নি। ঈদেও আগে আগামী সোমবার ১দিন মাত্র ব্যাংক খোলা রয়েছে সেদিন যদি টাকা না পাই তাহলে আমাদের ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হবে। এব্যাপারে জনতা ব্যাংক কোম্পানীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকদের অভিযোগ সত্য নয়। শিক্ষকরা যখন ব্যাংকে এসেছিল তখন তাদের বেতন বোনাসের অর্থ আমাদের কাছে আসেনি। অর্থ পরে এসেছে আশাকরি সোমবার শিক্ষকরা বেতন বোনাস নিতে পারবে।

এব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম তালুকদার বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। শিক্ষকরাও এই বিষয়ে কেউ আমাকে জানায় নি। ঈদের আগে শিক্ষকদের বেতন বোনাস দেয়ার জন্য উর্দ্বতন কতৃপক্ষ ও ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।