কলাপাড়ায় অন্তঃসত্তা দোলা কর্মকার খুন

আহম্মেদ পাশা তানভীর, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পৌরশহরে চিংগরিয়া গত ২৪ মে শেষ বিকালে অন্তঃসত্তা দোলা কর্মকারকে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী সম্রাট কর্মকার ও শ্বাশুড়ি সাধনা রানী কর্মকার বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে। দোলা রানী কর্মকার সাত মাসের অন্তঃসত্তা ছিল। হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না গলায় জড়িয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে গতকাল কলাপাড়া প্রেসক্লাবে বেলা ১১ টায় সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত ভাবে সাংবাদিকদের জানান নিহতের কাকা খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত বিএসসি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ কর্মকার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সম্রাট কর্মকার ও দোলা কর্মকার দুইজনে প্রেমের সম্পর্ক তৈরীকরে দুই বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে দোলার উপর মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এ বিষয়ে একাধিক সালিস হওয়ার পর সম্রাট কিছু দিন নির্যাতন বন্ধ করে। কিছু দিন পর পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মাদকাসক্ত সম্রাট ও তার মা সাধনা রানীসহ পরিবারের অন্যরা আবার নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে দোলা অন্তঃসত্তা হয়ে পরলে অমানুবিক মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।

সর্বশেষ গত ২৪ মে সম্রাট কর্মকার দোলার গর্ভবতী পেটে লাঠি মারে। পেট ব্যাথায় দোলা ডাক-চিৎকার করলে সম্রাট ও তার মা সাধনা রানী বালিশ চাপা দিয়ে দোলাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে দোলার গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। অবস্থা বেগতিক দেখে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যাওয়ার আগেই দোলার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে রাখে। একজন নারী গর্ভবতী হওয়া অবস্থায় তার অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে আত্মহত্যা করতে পারে না। তবে সম্রাটের পরিবার দোলা আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালায় বলে, সাংবাদিক সম্মেলনে দোলার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দোলার বাবা শ্যামল কর্মকার, মা কল্পনা রানী কর্মকার, দোলার কাকাতো ভাই প্রবীর কর্মকার এবং অপু কর্মকারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

এ ঘটনায় দোলার মা কল্পনা রানী কর্মকার বাদি হয়ে গত ৩০ মে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।