কুষ্টিয়া কুমারখালীর তাঁতশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, বাঁশগ্রামসহ কয়েকটি ইউনিয়নে জুড়েই ছিল তাঁতী ও তাঁত শিল্প তাঁতের বহর। তাঁতের ছন্দে দোলায়িত হতো এসব গ্রামের মানুষ। বর্তমান নানা প্রতিকূলতায় এসব ইউনিয়নের তাঁত শিল্প বিলুপ্তির পথে। প্রতি বছরই কমছে তাঁতের সংখ্যা।
যদুবয়রা গ্রামের প্রায় ১ হাজার তাঁতের মধ্যে এখন প্রায় বর্তমানে আছে ১ শত টি। এই শিল্পের সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার নারী ও পুরুষ তাঁতী জড়িত ছিল। যারা এখন বেশির ভাগই কর্মহীন, বেকারত্বের অভিশাপে ধুকছে। পুঁজি সংকট, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই গ্রাম গুলোর তাঁত শিল্প। ফলে পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক মালিকসহ কারিগর।
তাদের মধ্যে সরকারের কার্যকরী সহযোগীতা ও সহজ শর্তে ঋণ পেলে আবারও ফিরে আসতে পারে তাদের সেই জাকজমকপূর্ণ ব্যবসা। বৃটিশ শাসনামল থেকে এসব এলাকায় তাঁত শিল্পের বিস্তৃতি লাভ করে। এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় প্রবীণ তাঁতী আশরাফ, সাহাবুদ্দি, শরিফসহ প্রমূখরা জানান, সর্বাধুনিক বস্ত্র শিল্পের বাজারে আমাদের তাঁতের তৈরি বাজারগুলো মার খাচ্ছে।
কেননা এই এলাকার তাঁতীরা হাতের সাহায্যে পণ্য তৈরি করেন। আমরাসহ হাজার হাজার তাঁতী পেশা বদল করে অন্য পেশায় জড়িত। আধুনিক বস্ত্র শিল্পের বাজারে আমাদের তাঁতের তৈরি কাপড় গুলো প্রতিযোগীতায় টিকতে পারছে না। কেননা এই এলাকার তাঁতীরা হাতের সাহায্যে পণ্য তৈরি করেন।
আধুনিক মেশিন কিনতে সরকার ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে তাঁতীদের পেশা বদল করতে হবে না বলে তাদের মত। তাহলেই রক্ষা পেত শত বছরের ঐতিহ্য এসকল গ্রামের ক্ষুদ্র কুটির তাঁত শিল্প।