প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা: আজ সাক্ষী দেবেন ৩ সাংবাদিক

শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় ৩ সাংবাদিকের সাক্ষ্য গ্রহণ আজ।

২০০২ সালে তৎকালীন সময়ে এই ৩ সাংবাদিকও ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে।

৩ সাংবাদিক হলেন, আরটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, এনটিভি ও যুগান্তরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী ও দৈনিক সাতনদীর সম্পাদক হাবিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই ৩ জন আজ সাক্ষ্য প্রদান করবেন বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ৩ সাংবাদিকের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে।

এদিকে আলোচিত এই মামলা পরিচালনার জন্য দুইদিন আগেই ঢাকা থেকে অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীরসহ ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাতক্ষীরায় এসেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ।

তবে সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল শুনানীর পর তা খারিজ করে দেওয়ায় আজ থেকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সাক্ষীদের জেরা করার কথা রয়েছে।

এরআগে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে ১৫ জন সাক্ষীর। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এদের মধ্যে ৬ জনের জেরা করেননি।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আসেন। প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফেরার পথে তার গাড়ি বহরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে হামলা করা হয়। এঘটনায় উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম। সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনে উচ্চতর আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম অব্যহত আছে।

বার্তা বাজার/কে.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর