ডিসি-ইউএনও-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমির ভোগ-দখল নিয়ে বিএনপি নেতার দায়ের করা মামলায় আসামি হলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির নেতা ও জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

সারা দেশে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের বেশির ভাগ কার্যক্রম করোনা কেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ফিরোজ হায়দার খান রাতের আঁধারে পুকুরে মাটি ভরাট করে শ্রেণি পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। এছাড়া পুকুরের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণ করেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার অবৈধ কাজ বন্ধ করেন এবং সরকারি মালিকানার পুকুর লিখে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ফিরোজ হায়দার খান রাতের আঁধারে পুকুরটি ভরাট করেন।

পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন পুকুরের চারপাশের প্রাচীর ভেঙে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি সরিয়ে পুনরায় তো পুকুরে পরিণত করেন। উক্ত পুকুরটি সায়রাত রেজিস্টার (জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত) ভুক্ত।

এই ঘটনার পর ফিরোজ হায়দার খান টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেনকে গত ৩০ মে ও ৩১ আগস্ট দুটি উকিল নোটিশ পাঠান।

পরে ফিরোজ হায়দার খান জেলা প্রশাসক, মির্জাপুরের ইউএনও ও এসিল্যান্ডের নামে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন।

বিএনপি নেতা ফিরোজ হায়দার খানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেন জানান, ২০১৩ সালে হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে তাতে বলা আছে কোন জলাধার ভরাট করা যাবে না। ফিরোজ হায়দার খান সেই আইন অমান্য করেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক জানান, ফিরোজ হায়দার খান রাতের আঁধারে পুকুর ভরাট জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করেছেন। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রশাসন জনস্বার্থে রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করছে। ফিরোজ হায়দার খান উচ্চ আদালতকে ভুল বুঝিয়ে অন্যায়ভাবে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন।

বার্তাবাজার/অমি/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর