পরীক্ষা না দিয়েও উত্তীর্ণ!

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকতা (অস্থায়ী রাজস্ব) পদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও উত্তীর্ণদের তালিকায় এক শিক্ষার্থীর নাম এসেছে।

এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ জানান, পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ব্যবহার করে অন্যকেউ অংশ নেয় পরীক্ষায়, ফলে ভুলবসত পাসের তালিকায় চলে আসে ওই পরীক্ষার্থীর নাম।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১.৩০টা পর্যন্ত ৪২টি পদের বিপরীতে ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে । সেদিন দিবাগত রাত সাড়ে ৪.৩০টার দিকে ১২৭ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয় মৌখিক পরীক্ষার জন্য।

উক্ত তালিকায় থাকা রোল নং ২১৯০ নাম্বারের পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ না করলেও উত্তীর্ণের তালিকায় আসে তার রোল নং। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রী। তার বাড়ি বগুড়ায়

ওই পরীক্ষার্থী সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, পরীক্ষার সময় তিনি বগুড়ায় অবস্থান করছিলেন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি বলে জানা যায় ওই পরীক্ষার্থী সঙ্গে কথা বলে।

তিনি বলেন, আমি পরীক্ষা দিতে আসিনি। কিন্তু এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে আমি যেন ভাইভা দিতে না আসি এই বলে বিএফআরআই-এর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সাইফ নামে এক লোক ফোন দিয়ে রোববার হুমকি দিয়েছেন।

জানা যায়, মোট পরীক্ষার্থী ২৮২০ থাকলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১২১৪ জন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে জানান যে, ভালো পরীক্ষা দিয়েও এখানে লাভ হয় না। পরীক্ষা শুধুই আইওয়াশ। গত কয়েকটি নিয়োগে ঘুষ, তদবির ছাড়া চাকরি হয়নি তাই তারা পরীক্ষা দিতে যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ভালো পরীক্ষা দিলেও ফলাফলে তাদের নাম আসেনি। নিয়োগে হয় দুর্নীতি। কাদের নেয়া হবে তা আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকে টাকার বিনিময়ে।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষার খাতায় কোডিং করা থাকে তাই খাতা মূল্যায়নের সময় মূল্যায়নকারীরা বুঝতে পারেন না খাতাটি কার।

এ ব্যাপারে বিএফআরআই উর্ধ্ধতন কর্মকর্তারা জানান,ন পরীক্ষার বিষয়ে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।

বার্তাবাজার/এম.এ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর