পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে আঞ্চলিক দলগুলোর দৌরাত্ম্য

আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের রেশ ধরে পার্বত্য অঞ্চলে বেড়ে উঠেছে সংঘাত। পাহাড়ি দলগুলো মজুত করছে অবৈধ অস্ত্র যার ফলে বেড়ে গেছে হত্যা, অপরহণ গুমসহ নানান অপকর্ম। যার প্রভাবে ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ জীবন যাত্রা

 

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন এই তিন জেলা নিয়ে গঠিত পার্বত্য অঞ্চল যাতে অবস্থান করছে ৫টি আঞ্চলিক দল। দলীয় আধিপত্য জানান দিতে প্রায়ই তারা মেতে উঠে সংঘাতে। এহেন অবস্থায় জন-জীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম হচ্ছে বাধাগ্রস্থ।

 

গত কিছুদিন যাবত আঞ্চলিক দলগুলো আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে ঘটে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। অবৈধ অস্ত্রের মজুত থাকায় শুরু হয় নিজেদের শক্তি পরিক্ষার। ফলে প্রতনিয়িত গোলাগুলিতে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ হয়ে পড়েছে ভীত-সন্ত্রস্ত। নভেম্বর মাসে আঞ্চলিক দলের বন্দুকযুদ্ধে ৭জন নিহত ও বেশকিছু মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও দূর্গম অঞ্চল হওয়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কোন তথ্য দিতে পারেনি।

 

পার্বত্য অঞ্চল, মিয়ানমার ও ভারত সীমান্ত এলাকাগুলো খোলা হওয়ার কারণে অবৈধ অস্ত্রের শোরগোল তুলনামূলকভাবে বেশি। মায়ানমারের পার্বত্য দলগুলোর নিয়মিত যাতায়াত হচ্ছে রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি অঞ্চল হয়ে ভারতের রাজস্থলীর কিছু এলাকা দিয়ে। সম্প্রতি রাঙ্গামাটির কলেজপাড়া এলাকায় সন্ধান পাওয়া গেছে আরাকান আর্মির আস্তানার।

 

এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বরে পার্বত্য পথে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৩০টি অত্যাধুনিক একে-৪৭ ও ৮ হাজার গোলাবারুদসহ ৩ জন বাংলাদেশী উপ-নাগরকিকে আটক করে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। অস্ত্রগুলো একটি র্পাবত্য আঞ্চলিক দলের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছিল বলে জবানবন্দি দেয় তারা।

 

রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যে জানান, এসকল অবৈধ অস্ত্রধারীদরে জন্য সাধারণ মানুষরে জনজীবন বাধাগ্রস্ত। পাহাড়ী সাধারণ মানুষদের পুঁজি করে চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজী করে যাচ্ছে তারা । তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী না করে সকলের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে। এসময় নীতি ও আর্দশ বজায় রেখে সৎ পথে চলার আহবান জানান তিনি।

 

 

বার্তাবাজার/এম.এ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর