চোরাই বিদ্যুৎ দিয়ে ব্যাডমিন্টন খেললে যে শাস্তি হতে পারে

শীতকালে দেশের প্রায় সকল এলাকায় বেড়ে যায় ব্যাডমিন্টন খেলার প্রচলন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে বেশ বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে খেলাটা বেশি হয়। কিন্তু এই বিদ্যুতের বেশিরভাগের জোগানই হয় চোরাইভাবে। অর্থাৎ হাতুড়ে ইলেক্ট্রিশিয়ান দিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ সংস্থার খুঁটি থেকে চুরি করে টানা হয় লাইন।

যার ফলে খরচ করা বিদ্যুতের কোনো অংশই সরকারি তহবিলে জমা হচ্ছে না। কিন্তু জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ ঠিকই খরচ হচ্ছে। এটাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়।

যার জন্য ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি সংসদে বিদ্যুৎ আইন সংশোধন করে বিল পাশ করা হয়। সেখানে বিদ্যুৎ চুরির জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা চুরি হওয়া বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার (যেটা বেশি হয়) বিধান রাখা হয়েছে। আগে এ অপরাধের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।

বিদ্যুৎ চুরির জন্য কোনো যন্ত্র বা ডিভাইস ব্যবহার করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ অপরাধ অজামিনযোগ্য। আইনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চুরি, অপসারণ বা বিনষ্ট করলে দুই থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এটিও অজামিনযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ স্থাপনায় নাশকতা করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। এটিও অজামিনযোগ্য অপরাধ।

আইনের আরেকটি অজামিনযোগ্য ধারায় বলা হয়েছে, বিদ্যুতের মিটার, পূর্তকাজে বাধা দেওয়া এবং বিদ্যুতের অননুমোদিত ব্যবহারের অপরাধে ওই ব্যক্তি তিন বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আইনে শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ চুরি করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা চুরি হওয়া বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সূত্র-প্রথম আলো।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর