অনলাইনে ফ্যান অর্ডার দিয়ে পেলেন ঝুট কাপড়-ইট

অনলাইনে ৮ হাজারেরও বেশি ফ্যানের অর্ডার দিয়ে কাভার্ড ভ্যান ভর্তি ঝুট কাপড় আর ইট পেয়েছেন এক ব্যবসায়ী। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার জিহাদ ইলেকট্রনিক্সের মালিক মো. তরিকুল ইসলাম মোটা অঙ্কের টাকায় অনলাইনে ফ্যান কিনে প্রতারকদের কবলে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে এসব সামগ্রী নিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্লাপাড়ায় পৌঁছে।
ব্যবসায়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ চালক ও হেলপারসহ কাভার্ড ভ্যানটি আটক করেছে।

তরিকুল ইসলাম জানান, অনলাইনে কম মূল্যে ভালো মানের ইলেকট্রনিক ফ্যান বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে তিনি বুধবার চট্টগ্রামের সুমাইয়া ইলেকট্রনিক্সের দোকানে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ৮ হাজার ২’শ ২৩টি নেট মোটর ফ্যান কেনেন। এসব ফ্যানের মূল্য ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অনলাইনে ফ্যান কেনার সময় সুমাইয়া ইলেকট্রনিক্সের পক্ষ থেকে তরিকুলের কথা হয় সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। সাইফুল ইসলাম মেসার্স ফরিদা কালার নামের এক স্বজনের হিসাব নম্বর তরিকুলকে দেন।

কথা হয় টাকা পাঠানোর আগেই ফ্যানগুলো উল্লাপাড়ায় পৌঁছে যাবে। তবে কার্টন খোলার আগেই উত্তরা ব্যাংকের মাধ্যমে তাকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে। সে অনুযায়ী উল্লাপাড়ায় ২৭৪টি কার্টন বোঝাই কাভার্ড ভ্যান বৃহস্পতিবার দুপুরে তার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ানোর পর পূর্ব কথা অনুযায়ী তরিকুল উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড উল্লাপাড়া শাখা থেকে মেসার্স ফরিদা কালার নামের হিসাবে টাকা পাঠান। টাকা পাঠানোর পর ফ্যানের কার্টনগুলো খুলতে গিয়ে তিনি দেখতে পান প্রতিটির মধ্যে কাপড়ের ঝুট এবং একটি করে ইট দেওয়া রয়েছে।

তিনি জানান, প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে জানান। এরপর তিনি দ্রুত উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড উল্লাপাড়া শাখায় গিয়ে তার পাঠানো টাকার পেমেন্ট বন্ধ করার ব্যবস্থা নেন। এদিকে, পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপারসহ ভ্যানটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আটক কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. মাছুম জানান, চট্টগ্রামের সিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে ১৭ হাজার টাকা ভাড়ায় এসব কার্টন তিনি উল্লাপাড়ায় নিয়ে আসেন। কার্টন গুলোর মধ্যে কী ছিল তিনি তা দেখেননি।

উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হুজ্জাতুল জানান, আটক চালক ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লাপাড়ার ব্যবসায়ী তরিকুল মামলা দেবার পরে পুলিশ এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বক্তব্য নিতে কথিত সুমাইয়া ইলেকট্রনিক্সের পক্ষে মের্সাস ফরিদা কালারের মালিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর