শরণখোলায় মাদ্রাসায় নিয়োগে অনিয়ম, সভাপতির নিকটাত্মীয়দের অগ্রাধিকার

বাগেরহাটের শরণখোলার বগী সুন্দরবন ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় পরিকল্পিতভাবে দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়া নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতির শ্যালক সাইফূল খলিফাকে নিরাপত্তা কর্মী এবং ভাই সহিদুুল পঞ্চায়েতের স্ত্রী আসমা বেগমকে আয়া হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মাদ্রাসার সভাপতি রিয়াদুল পঞ্চায়েত, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুজ্জামান খাঁন ও মাদ্রাসা সুপার জামাল হোসেন যোগসাজোসে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপর নিরাপত্তা কর্মী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বয়াতী শরণখোলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ও শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করে অনিয়মের বিচার প্রার্র্থনা করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য হাবিবুর রহমান, অভিভাবক সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন, আঃ রাজ্জাক হাওলাদার, নৈশ প্রহরী প্রার্থী রুবেল ফরাজী, মাসুম বিল্লাহ, জাহিদুল ইসলাম, শামিম খাঁন, সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত অভিযোগে ও সাংবাদিক সম্মেলনে সাইফুল বয়াতী জানান, বগী সুন্দরবন ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইফুল ইসলাম বয়াতীর কাছে চাকুরি দেয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা দাবী করেন। এসময় তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা অগ্রিম নেয়। এভাবে কৌশলে প্রত্যেক আবেদনকারীর কাছ থেকে এক ও দু’লাখ টাকা করে অগ্রিম জমা নেয়া হয়। যাতে সবাই চাকুরি পাবার আশায় চুপ করে থাকেন।

পরে তারা গত ২০ নভেম্বর নিজস্ব লোক ডামি প্রার্থী বানিয়ে স্বার্থ হাসিলের জন্য শরণখোলা থেকে ৫০ কিমি দূরত্বে বাগেরহাট আলিয়া মাদ্রাসায় নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে সভাপতি রিয়াদুল পঞ্চায়েতের আপন শ্যালক সাইফুল ইসলাম খলিফা নিরাপত্তা কর্মী ও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আসমা বেগমকে পরীক্ষায় উত্তীর্ন দেখিয়ে নিয়োগ দেন। মাদ্রাসার সভাপতি রিয়াদুল পঞ্চায়েত, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুজ্জামান খাঁন ও মাদ্রাসা সুপার জামাল হোসেন যোগসাজোসে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

এব্যাপারে বগী সুন্দরবন ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জামাল হোসেন বলেন, বোর্ডের প্রতিনিধির উপস্থিততে সভাপতি রিয়াদুল পঞ্চায়েতকে বাদ রেখে নিযোগ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওই নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন করে দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি বলে দাবী করেন তিনি।

মাদ্রাসার সভাপতি রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, বোর্ড যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছেন। এখানে আমার কোন হাত নেই।

জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুজ্জামান খাঁন যোগসাজোসের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধির নির্দেশনা অনুযায়ী ওই মাদ্রাসা সভাপতিকে বাদ রেখে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পাবার পর সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর