ঘাটাইলে পেশা বদলাচ্ছে বেত শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন

উত্তম আর্য্য, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ বাব দাদার কাছে শিখে ছিলাম তাই ছাড়তে পারি নাই আগের মত আর ব্যাবসা নাই।আমার সন্তানদের এ কাজে আসতে দেইনি তারা অন্য অন্যপেশায় নিয়োজিত কাজের ফাকে দির্ঘস্বাস ছেড়ে কথাগুলো বললেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া বট তলা গ্রামের রাম লাল চন্দ্র দাসের ছেলে চৈতন্য চন্দ্র দাস।

তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রায় ৩৫ বৎসর যাবৎ আমি বেত দিয়ে তৈরী কুটির শিল্পের বিভিন্ন জিনিষ তেরী কওে দেন। ফুল হারা গ্রামে কাজের ফাকে কথা হয় তার সাথে।তিনি বেতের তৈরী দাড়ি পাল্লা, কুলা, কাটা সহ বিভিন্ন জিনিষ তৈরী করে হাটে বাজারে বিক্রি করেন। প্রায় ২০ বৎসর আগে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বেতের গাছ চাষ করা হতো তখন জিনিষ পত্র বিক্রি করে অনেক লাভ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেট, চট্রগাম থেকে বেত আমদানী করা হয় ফলে পরিবহন খরচবেশী পড়ে যাওয়ার কারনে যার দরুন আগের মত আর লাভ দেখা যায় ।চৈতন্য চন্দ্র দাস জানয় আগে কয়েক গ্রাম ঘুরে ও বেতের কাজ করে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করাযেতো কিন্তু বর্তমানে ৫০০ টাকা রোজগার করতে হিম শিম খেতে হয়।

একটি সময় মানুষ বেতে দিয়ে জিনিস তৈরী করে জিবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু বর্তমানে কাঠ বাশের তৈরী জিনিষ বাজারে আসাতে এখন মানুষ তেমন বেতের তৈরী জিনিষ কিনতে চায় না।তাইতো আমার ৩ ছেলে খুশি চন্দ্র দাস ফার্নিচারের কাজ করে সুশিল চন্দ্র দাস নর সুন্দরের কাজ শান্ত চন্দ্র দাস টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনষ্টিউট পড়া শোনা করছে। তাদেও আমার পেশায় আসতে দেইনি কারন এ পেশায় থাকলে কোন লাভ নেই। সরকারকারী সহযোগিতা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চৈতন্য দাস জানায় আমি কোন সহযোগিতা পাই না তবে আপনার যদি(সাংবাদিক কে) কোন সংস্থার বিষয়ে জানা থাকলে জানাবেন যদি কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর