চলাচলের অনুপযোগী পাকুন্দিয়া-মঠখোলা সড়ক

নরসিংদীর সাথে কিশোরগঞ্জের যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র সড়ক মঠখোলা-পাকুন্দিয়া-কিশোরগঞ্জের সড়কটির বেহাল দশা। সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে যান চলাচলের অনুপযোগী। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

নির্মানের সময়ে সড়ক লেবেল না করায় গাড়ি চালানো দায়, যেনো ১১ কিলোমিটার সড়ক সবটুকুতেই স্পিটব্রেকার। গাড়ি দিয়ে যাতায়াতের সময় মনে হয় নৌপথে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার দিচ্ছে আর নিম্ন মানের ইটের সুরকি দিয়ে কাজ করায় অল্পদিনেই সড়কের পিচ ঢালাই উঠে গেছে।

এলাকাবাসী জানান, বর্তমানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। মঠখোলা থেকে পাকুন্দিয়ার পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়কটি বর্তমানে অনেকটা যান চলাচলে অনুপযোগী। পাকুন্দিয়া উপজেলাবাসী নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে মঠখোলা হয়ে নরসিংদী এবং ঢাকায় যাতায়াত করছেন।

ছবি: বার্তা বাজার।

এ উপজেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদী থেকে পন্য এনে পাকুন্দিয়া, মঠখোলা, হোসেন্দী, পুলেরঘাট সহ বিভিন্ন বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন ফলে যাতায়াতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

পাকুন্দিয়া বাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে চলাচল করতে ভয় লাগে। নিম্নমানের কাজ করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয় যেন নৌকা দিয়ে নদীতে দোল খাচ্ছি। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

এদিকে প্রায়ই গর্ভবতী মহিলা সহ বিভিন্ন ধরণের রোগী নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। রাস্তাটির করুণ দশার কারণে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

২০১৫- ২০১৬ অর্থ বছরের বাজেটের ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর অধীনে হাওর অন্চলের বন্যা ব্যাবস্হাপন ও জীবন মান উন্নয়ন, প্রকল্পঃ মেইনটেনেন্স পাকুন্দিয়া জি. সি – মঠখোলা (বটতলা) রোড নামে প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যায়ে নিম্নমানের বিটুমিন নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সংস্কার কাজ করেন টিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ এন্ড ব্রাদার্স ৬ মাসের মাথায় সড়কটি ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে সড়কটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।

পিপল ডেবলেপমেন্ট প্রসেস (পিডিপি) পাকুন্দিয়ার চেয়ারম্যান আ.ন.ম তানভীর হায়দার ভূঁইয়া বলেন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ উপজেলার সকল জরাজীর্ণ সড়কগুলো পুনর্নির্মাণের জোর দাবি জানান। সেই সাথে সরকারি টাকা যাতে লুটপাট না হয় এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারী এবং কাজ যেন প্রাক্কলন অনুযায়ী উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সঠিকভাবে করা হয় এবং টেকসই হয় এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কাগজে পত্রে তিন বছর পুর্ন হয়েছে। আগামী বছর রাস্তাটির মেয়াদ শেষ হবে। পুনর্নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত সড়কটির বড় বড় গর্ত ভরাট আমরা করে দেব।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর