সমাজপতিদের কথা না শোনায় সিরাজগঞ্জে ৬ পরিবার সমাজচ্যুত

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে সমাজপতিদের কথা না শোনায় ৬ পরিবারের ৪০ জন নারী-পুরুষকে ফতোয়া দিয়ে সমাজচ্যুত করেছেন কথিত সমাজপতিরা।

সমাজপতি ও ফতোয়াবাজদের হুমকিতে ওই পরিবার গুলোর নারী-পুরুষরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং নারীরা অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এ বিষয়ে কথিত সমাজপতি পাঙ্গাসী লাইলা মিজান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ময়দান আলী খান, মেনহাজ আলী খান, আব্দুল মান্নান খান, নূরুল হক খান ও আব্দুল খালেক খানের নাম উল্লেখ করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ভুক্তভোগী পরিবার সমাজচ্যুত থেকে পরিত্রাণ চেয়ে আবেদন করেছেন। এছাড়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানান তারা।

ভুক্তভোগী কে.এম মাহবুবুর রহমান জানান, রোববার (২২ নভেম্বর ২০২০ ইং-) সমাজপতিরা আমাদের ৬ টি পরিবারকে সমাচ্যুতের ঘোষনা দেয়। এবং আমার বাড়ির রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে দেয়। আমরা একদম বন্ধি হয়ে পড়েছি।

কথিত সমাজপতিরা ফতোয়া দিয়ে ৬ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সমাজের কারো কথা বলা ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এছাড়া তাদের এলাকা ছাড়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেন আব্দুল হাকিম খান।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় অভিযুক্তরা আরও বেশি ক্ষেপে গিয়ে প্রাণ নাশের ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

এদিকে, সদর থানার এস আই শরিফুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানের জন্য দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হবে। এ ব্যাপারে সমাজপতি পাঙ্গাসী লাইলা মিজান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ময়দান আলী খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বহুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সরকার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কাউকে সমাজচ্যুত করা যায় না। সালিশের নামে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্যায়।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর