‘বিবিসি ১০০ নারী’ তালিকায় এক সময়ের যৌনকর্মী রিনা আক্তার

মহামারি করোনাকালে যখন দেশের মানুষজন গৃহবন্দি তখন আয় রোজগারও বন্ধ হয়ে যায় যৌনকর্মীদের। সমাজের কোনো শ্রেণির মানুষ তাদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেনি। খেয়ে না খেয়ে দিন গুজরান করা এইসব ভাসমান যৌনকর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ান একসময় এই পেশায় থাকা নারী রিনা আক্তার।

প্রতিদিন ২০০ যৌনকর্মীকে খাইয়েছেন তিনি। টানা চারমাস ২০০ মানুষকে প্রতিদিন ভাত, সবজি, ডিম ও মাংস খাইয়েছেন তিনি।

তার এই অনবদ্য মানবিকতার কারণে তিনি এখন ‘বিবিসি ১০০ নারী’ তালিকায় ৬ নম্বরে অবস্থান করছেন। অথচ নিজে একজন যৌনকর্মী হওয়ায় সইতে হয়েছে প্রচুর বঞ্চনা। নিজের অভিজ্ঞতায় তিনি বুঝতে পারেন যৌনকর্মীদের কষ্ট। পাশে এসে দাঁড়ান তাদের।

তিনি যৌনকর্মীদের সংগঠন ‘দুর্জয় নারী সংঘের’ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যৌনকর্মী সংগঠনগুলোর জোট সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশের সদস্য।

রিনা আক্তার বিবিসিকে জানান, ‘লোকজন আমাদের পেশাকে ছোটো করে দেখে কিন্তু আমরা এটি করি খাবার কেনার জন্য। আমি চেষ্টা করছি যাতে এই পেশার কেউ না খেয়ে থাকে এবং তাদের বাচ্চাদের যেন এ কাজ করতে না হয়।’

বিবিসি রিনা আক্তার সম্পর্কে লিখে, মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর এক আত্মীয় তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিলো। সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন ও পরে যৌনকর্মীতে পরিণত হন। কিন্তু এখন তিনি অন্য যৌনকর্মীদের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে রিনা ও তার টিম ঢাকায় প্রতি সপ্তাহে অন্তত চারশো যৌনকর্মীকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এসব যৌনকর্মীরা মহামারির কারণে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়েছেন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর