আবারও রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতি, এবার ১১ কোটি টাকার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসন প্রকল্পে বালিশকাণ্ডের পর এবার ১১ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্তের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ’ (আইএমইডি)। তারা তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়কে।

আইএমডির একটি সূত্র জানায়, ২০১০ স্লের ১০ অক্টোবর সচিবের নির্দেশে প্রকল্পের নিয়মিত মনিটরিং করার সময় দরপত্রের মাধ্যমে কর্মর্তাদের রেকর্ডপত্র পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

জানা যায়, এই দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল পারটেক্স ফার্ণিচার। ৪৪ কোটি ৯২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা দরপত্র জাম দেয়। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর দিয়েছিল আরএফএল গ্রুপ। তারা ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকা দর দিয়েছিল।

কিন্তু তাদেরকে রেখে হাতিলের করা ৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৯ টাকার দরপত্র অনুমোদন করে। অথচ নিয়মানুযায়ী তা পাওয়ার কথা পারটেক্সের। পাবনা গণপূর্ত বিভাগের এই অনিয়মের কারণে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। সরকারের ১১ কোটি টাকা ক্ষতি হলেও হাতিলের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি।

এদিকে পারটেক্স ফার্নিচার লিমিটেডের মাধ্যমে দাখিল করা দরপত্রের টেন্ডার শর্ত অনুযায়ী দাখিল করা হয়নি। ফলে দরপত্রটি নন-রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়ে সব সদস্য একমত পোষণ করেন। আবার আরএফএল প্লাস্টিক লিমিটেডের দাখিল করা দরপত্র নন-রেসপন্সসিভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ব্যাপারে আইএমডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তি জানান, রূপপুরে আবাসনের কেনাকাটায় ১১ কোটি টাকা অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম খতিয়ে দেখতে প্রকল্প এলাকায় টিম যাবে। তদন্তে অনিয়মের তথ্য পেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর