ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার, দাম তুলনামূলক বেশি

ঠাকুরগাঁওয়ে এবার হেমন্তের শেষ হতে না হতেই কড়া নাড়ছে শীত। সারা দিন রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরের দিকে চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা।

তবে এখনো পুরোদমে শীত জেঁকে না বসলেও ভাসমান বা অস্থায়ী গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীরা শীতের শুরুতেই বসেছেন পসরা নিয়ে। ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকদিনের শীত ও কিছুটা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত মানুষ ভীড় জমাচ্ছে শীতের গরম কাপড় কেনার জন্য ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে।

ছবি: বার্তা বাজার।

জেলায় বেশকয়েক দিন থেকে শীত পড়তে শুরু করায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব দোকানে বিভিন্ন মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দিনে রোদ হলেও সন্ধ্যায় ও ভোর বেলায় হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব।

এর মধ্যেই ঠাকুরগাঁওয়ে উষ্ণ কাপড়ের জন্য স্বচ্ছল ক্রেতারা যেমন মার্কেটের দোকানে যাচ্ছেন, তেমনি স্বল্প আয়ের মানুষেরাও ভিড় করছেন পুরনো শীতবস্ত্রের অস্থায়ী দোকান গুলোতে। ক্রমেই ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠছে পুরোনো শীতবস্ত্রের বিভিন্ন বাজার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও অডিটোরিয়াম বিডি হলের সামনে অস্থায়ী ভাবে গড়ে ওঠা দোকান গুলোতে শীতবস্ত্র বিক্রয় করা হচ্ছে। নিন্মবিত্তদের পাশাপাশি উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা ও পোশাক কিনছেন এসব দোকান থেকে।

ছবি: বার্তা বাজার।

ক্রেতারা জানান, শীত শুরু হওয়ায় তারা কাপড় নিচ্ছেন। মার্কেটের থেকে এসব দোকানে কমদামে কাপড় পাওয়া যায়। কিন্তু গত বারের তুলনায় এবার এসব দোকানে দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।

অডিটোরিয়াম বিডি হলের সামনে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা কয়েকজন দোকানদার বলেন, কয়েক দিন ধরেই প্রায় সব দোকানে কম-বেশি শীতের কাপড় কেনাকাটা শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের জন্য বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় দেশে আসছে না। গুদামে কয়েক বছর আগের মজুত করা কিছু কাপড় নিয়েই দোকান চালু করতে হচ্ছে।

তারা আরও জানান, এবার করোনাভাইরাসের কারণে কালিবাড়ির কাঁচাবাজার ও মাছের বাজার ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বড়মাঠ) বসায় তারা ওই স্থানে আর দোকান করতে পারছেন না। রাস্তর ধারে ধুলোবালি দিয়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যায় ও রাস্তর ধারে ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহকদের কাপড় কিনতে সমস্যা হচ্ছে। দোকানগুলো নির্দিষ্ট স্থানে বসার ব্যবস্থা করে দিলে তাদের জন্য ভালো হয়। বর্তমানে একটু বেচাকেনা কম হলেও ভালোভাবে শীত শুরু হলে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

বার্তাবাজার/অমি/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর