নীলফামারীতে সবজির দাম কমলেও আলুর দাম উর্দ্ধমুখি

নীলফামারীতে বাঁধা কপি, ফুল কপি, মুলা, ধুনিয়া পাতা, লাউ, পোটল ও বেগুনের দাম কমলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) খুচরা বাজারের প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। নীলফামারী কিচেন মার্কেটে আলু পাইকারি বাজারে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ওই বাজারে পাইকারি ব্যবসার্য়ীা বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে আলু বিক্রি হয়েছিল ৩৬ টাকা কেজি দরে। সেখানে আজ প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৮-৯ টাকা। তবে বাঁধা কপি, ফুল কপি, মুলা, ধুনিয়া পাতা, লাউ ও বেগুনের দাম সহনীয় পর্যায় এসেছে।

আজ সকালে ওই বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে দুইগুন। পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে আলুর কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর খুচরা দোকানে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা।

ওই বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সফিজুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগে আড়তে প্রতি মন আলুর দাম ১ হাজার ৪৪০ টাকা। আর আজ সোমবার তা বেড়ে প্রতিমন ১ হাজার ৮০০ টাকা।

তিনি বলেন, গৃহস্ত পর্যায় আলু বীজ সংরক্ষনের কারনে আলুর বাজার অস্থিতিশীল। তাই গত এক সপ্তাহে আলুর প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছ ৮-৯ টাকা। ওই বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আল আমিন একই কথা বলেন।

একই বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী বুলুমিয়া ও ইলিয়াস আলী বলেন, এখন আলু রোপনের পুরো মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই গ্রাম পর্যায়ে আলুর গিরি হিমাগার থেকে আলুর বীজ উত্তোলন করে জমিতে বুনছে। তাছাড়া, উৎপাদিত আলুর তিন ভাগের দুইভাগই বীজ হিসেবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজি কিনতে এসে আলেয়া বেগম বলেন, কারেজ আলু ৬ কেজি কিনেছি ১৮০ টাকায়। ওই আলু এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি কিনেছে ২২-২৩ টাকা কেজি দরে। এসময় আলু রোপনের প্রধান সময় তাই হিমাগারের মালিক ও গৃহস্ত বাড়ীর লোকজন আলু বীজ হিসেবে বিক্রি করছে। এতে তারা বেশী লাভবান হচ্ছে। এ জন্য খাওয়ার আলুর দাম কমছে না। এ ছাড়াও করোনায় চাল, ডাল তেল ও আলু বিতরন করেছে বিভিন্ন সংস্থা। এই কারনে আলুর ওপর চাপ পড়েছে।

জেলা শহরের নিউবাবু পাড়ার কৃষক মহুবার রহমান জানান, এক কেজি আলুর দাম ৪৫ টাকা কেজি প্রতি চালের দামও ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। চাল আর আলু দু’টাই বাজারে পাল্লা দিয়ে চলছে। এদিকে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে শীতের সবজি সরবারহ বাড়ায় দাম কমেছে। ৭০ টাকার বরবটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০, ৬০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা। চিচিঙ্গা ৩০ টাকা কমে ১২, করলা প্রতিকেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। পাতা কপি ৩৫ টাকা কমে ৩০ টাকা ও ফুল কপি শুধু ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শশা কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ৬০ টাকার সিম এখন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতি পিস ১৫, কাঁচকলা প্রতি হালি ২০, পেঁপে কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

জেলা প্রশাসনের মাকেটিং কর্মকর্তা এরশাদ আলম খান বলেন, টানা বৃষ্টি আর বন্যায় কৃষকের জমিতে সবজি পচে যাওয়ার কারনে আলুর ওপর চাপ বেড়েছিল। আবার হিমাগারের আলু এখন বীজ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তাই এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আলুর দাম বেড়েছে ৮-৯ টাকা। তবে শীতে সবজির সরবারহ বাড়ায় সাধারন ভোক্তরা শান্তির শ্বাস ফেলছে। কিছু দিনের মধ্যে নতুন আলু বাজারে উঠলে এই দাম থাকবে না বলে আশা করেন তিনি।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর