৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি ২০ বছরেও ব্যবহারের অযোগ্য

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের চরনরিনা খালের ওপর নির্মিত ৩৬ লাখ টাকার সেতু থাকলেও ২০ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় বিগত ২০ বছরেও সেতুটি ব্যবহার করতে পারেনি পথচারিরা। এরই মধ্যে সেতুটির রেলিং ভেঙে পড়েছে। অনেক জায়গার খোয়া বালি খসে পড়ছে। শ্যাওলা ও জঙ্গলে ছেয়ে গেছে সরকারি এই সেতু। অকেজো এই সেতুটি নিয়ে নির্মান প্রতিষ্ঠান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগও নির্বিকার!

সোমবার (২৩ নভেম্বর) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ২০০০ সালের শুরুর দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চরনরিনা-নওকৈর ডিগ্রিরচর সড়কের ওপর ৪০ ফুটের কংক্রিট সেতুটি নির্মাণ করে। যা ২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। সরকারি এ অবকাঠামোটি কোনো কাজেই আসছে না স্থানীয়দের।

ছবি: বার্তা বাজার।

সেতুটির দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের অভাবে ওই এলাকার ১৭টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গ্রামগুলো হলো নরিনা, চরনরিনা, টেপরী, চরটেপরী, বারইটেপরী, পুনারটেপরী, নবীপুর, বওশাগাড়ি, সাতবাড়িয়া, আগনুকালি, জয়রামপুর, চিলাপাড়া, ডিগ্রিরচর, কালিপুর, চরনবীপুর, নওকৈর ও রাজপুর।

স্থানীয়রা জানায়, চরনরিনা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নরিনা হাই স্কুল, সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ, সাতবাড়িয়া কারিগরি কলেজ ও চরনরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিদিন যাতায়াতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। এছাড়া চরনরিনা বাজার, নরিনা বাজার, সাতবাড়িয়া বাজার ও তালগাছি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিদিন ও সপ্তাহের দুদিন হাটবাজারে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

শুষ্ক মৌসুমে সেতুটির নিচে পানি শুকিয়ে গেলে যাতায়াত নিচ দিয়ে করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে ও অনেক কষ্ট করে নৌকায় পার হতে হয় পথচারিদের। এতে অর্থ ও সময় দুটোই অপচয় হয়। তাই অতিবিলম্বে এ সেতুটির দু’পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে শাহাজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে মাটি ভরাট করে সংযোগ তৈরির করার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর