ড্রামে নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ১

বরিশালে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ড্রামে ভরে গুম করার ঘটনায় এক নারীকে গ্রেফতার করেছে গৌরনদী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নারীর নাম রহিমা বেগম। তিনি ওই উপজেলার ডিমলা গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী।

খালেক বিদেশ যাওয়ার জন্য নিহত সাবিনার স্বামীকে চার লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু খালেক বিদেশ যেতে অসম্মতি জানালে তার প্রদত্ত টাকা ফেরত দিতে এসেছিল নিহত সাবিনা।

পুলিশ জানিয়েছে, সাবিনার শ্বশুর বাড়ি গৌরনদী উপজেলার দিয়াসুর গ্রামে। কিন্তু সাবিনা তার দুই সন্তান নিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) টাকা ফেরত দিতে সাবিনা তার দুই সন্তান নিয়ে গৌরনদীতে আসেন।

ওইদিন সকাল ১০টার দিকে তার দুই সন্তানকে শ্বাশুড়ির কাছে রেখে বরিশালে আসেন। বরিশাল নগরীর কাশিপুরের ভূঁইয়া বাড়ি এলাকার নির্মানাধীন একটি বাড়িতে ডেকে এনে পরিকল্পতিভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়। হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা হয় হাতুড়ি ও রশি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রশি দিয়ে বেধে হাতুড়িপেটা করে নৃশংসভাবে হত্যাকরা হয় দুই সন্তানের জননী সাবিনা আক্তারকে।

গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হােসেন জানিয়েছেন, রহিমা বেগম নামে একজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। কখন এবং কোথা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানানি ওসি।

তিনি আজ বিকেলে (২২ নভেম্বর) জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত নারী হত্যায় অংশ নেওয়া সন্দেহভাজন যুবক আব্দুল খালেকের স্ত্রী। আমরা রহস্য উন্মোচনের দ্বারপ্রান্তে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আশ্রয়ে নিয়ে আসতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে একটি লোকাল বাসের ছাদে থাকা ড্রমের ভেতর থেকে প্রবাসীর স্ত্রী সাবিনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশভর্তি ড্রামটি বরিশালের গড়িয়ারপার নাম স্থান থেকে দুই যুবক ২৩০ টাকা ভাড়া চুক্তিতে ভুরঘাটা থেকে তুলে দেন।

পাঞ্জাবী পরিহিত একজন এবং তার সহযোগীও বাসের ইঞ্জিন কভারে করে ভুরঘাটা যান। সেখানে নেমে তারা ড্রামটি রেখে পালিয়ে যান। সুরতহাল রিপোর্টে নিহত সাবিনার মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর