বাংলাদেশে বিএনপির কোন চিহ্ন নাই: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘পত্রপত্রিকায় দেখলাম, মির্জা ফখরুল বলেছেন বিএনপিকে নাকি মাইনাস করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলছেন মাইনাস করার প্রক্রিয়া চলতেছে! মির্জা ফখরুল তো জানেই না তারা বর্তমানে মাইনাস হয়ে গেছেন বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির কোন চিহ্নই নাই। কারণ বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন সংসদে দাড়িয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সবার নেতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার ষোল কোটি মানুষের নেতা।’

শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিরল উপজেলা পরিষদ হলরুমে ইউএনও সোয়াইব হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা ও পুনবার্সন কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষির গুরুত্বরোপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তর সালের পরে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য এবং কৃষির জন্য ভর্তুকি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা সরকার। বঙ্গবন্ধুকে পচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যা করার পর জিয়া এরশাদ এবং খালেদা জিয়া তারা কখনো কৃষকদের জন্য এবং কৃষির জন্য ভর্তুকি দেন নাই। তারা ভর্তুকি দিয়েছিলেন অন্যখাতে, অস্ত্র কেনা, সামরিক খাতে ভর্তুকি দিয়েছে। কিন্তু কৃষকদের জন্য ভর্তুকি দেন নাই। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দেশের নব্বই ভাগ কৃষক গ্রামে থাকেন গ্রামে যেতে হবে। কিন্তু তাদের (জিয়া-খালেদা জিয়া) মনোযোগ গ্রামের দিকে ছিল না।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারকে যখন বিশ্বব্যাংক বাঁধা দিয়েছিল যে এই ভর্তুকি দেয়া যাবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কথায় বাংলাদেশ চলবে না। বাংলাদেশ চলবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেটা ভালো হয় সেইভাবেই বাংলাদেশ চলবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কৃষকদেরকে সার বীজ কীটনাশকের জন্য যুদ্ধ করতে হয় নাই। কৃষকদের সার বীজ কীটনাশকের জন্য কৃষিপণ্য নষ্ট করতে হয় নাই। কিন্তু ২০০১ সালের পরে ২০০৬ সালের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কৃষকরা সার পায় নাই। বর্তমানে ২৪ টাকার সার ১৬ টাকায় করে দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালের দিকে কি করা হয়েছিল? সারের মধ্যে ইটের গুড়া দিয়ে সারের ওজন বাড়ানো হয়েছিল। তখন ইউরিয়া সার বাজারেই পাওয়া যেত না। আর এখন বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে কৃষকদের জন্য সার বীজ কীটনাশক পাওয়া যায় না!’

বিএনপির আমলে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির আমলে মানুষকে আতঙ্কিত করেছে, শায়েখ আব্দুর রহমান, বাংলাভাই, জঙ্গি সংগঠনের মাধ্যমে এমপি, জনপ্রতিনিদের হত্যা করা হয়েছিল। কেউ প্রতিবাদ করলে পুলিশ দিয়ে তাদেরকে দমন করা হয়েছে। বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা হয়েছিল। সর্বশেষ শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য নিজস্ব লোক নিয়ে বিচারপতিদের বয়স বাড়ানো হয়েছিল।

তত্ত্বাবধয়াক সরকার যাতে তাদের লোকজন হয় সেজন্য তারা সব রকম চেষ্টাই চালিয়েছিল। শুধু তাই নয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতিও বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের কোন উন্নয়ন হচ্ছে কিনা সেদিকে কারো নজরদারি ছিল না। নজরদারি ছিল শুধু লুটপাটের দিকে। এটাই ছিল বিএনপির শাসন ব্যবস্থা!

আজকে বাংলাদেশের যেকোন বিপদে মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার। করোনার সময় আমরা তিনমাস মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছি। ১০ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। বর্তমানে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরিফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দীক সাগর প্রমুখ।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর