আশ্বাস চাইনা বাস্তবায়ন চাই!

আট মাস পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবারো রাস্তায় শিক্ষার্থীরা। সহপাঠী নিহতের প্রতিবাদে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে আজ দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-বিইউপির শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে ফার্মগেট, শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডিসহ পুরান ঢাকাতেও।

কোথাও কোথাও যানবাহনের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও পরীক্ষা করেন তারা। আজকের মধ্যে দাবি মেনে নেয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরের পর রাস্তা ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

আবারো বেপরোয়া বাসের চাপায় সহপাঠী হারানোর ক্ষত। স্লোগানে, মিছিলে, বিক্ষোভে তাই ফের রাজপথে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার( ২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই রাজধানীর প্রগতি সরণীতে দ্বিতীয় দিনে রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-বিইউপির শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে বিক্ষোভে যোগ দেন অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরাও। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

আন্দোলনকারীদের জোরালো দাবি, বেপরোয়া বাসের চাপায় আবরার নিহতের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতা আনাসহ ৮ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। সড়কে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতে বারবার শুধু কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়, নিতে হবে যথাযথ ও টেকসই বাস্তবায়ন। সড়ক নিরাপদ করতে নিতে হবে চালকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা আর প্রতিশ্রুতি চাই না, আমরা এখন বাস্তবায়ন চাই। ট্রাফিক সপ্তাহ পালক না করে চালকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায়ও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও পরীক্ষা করেন আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সড়ক ব্যবস্থার পরিবর্তন হয় না, কেনো রাস্তায় ভাইয়েরা মারা যাবে। রাস্তায় নেমেছি আশার বাণী শুনতে নয় বাস্তবায়ন চাই।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ, পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি ও সায়েন্স ল্যাব এলাকার রাজপথ বিক্ষোভে সরব রাখেন শিক্ষার্থীরা।

তবে অফিস ফেরত যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে শেষ বেলায় তুলে নেয়া হয় অবরোধ। তবে সড়ক নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

ডাকসুর নবনির্বাচিত এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বলতে চাই, যতদিন পর্যন্ত আমাদের সড়কে মৃত্যুর মিছিল পুরোপুরি থেমে না যায়, ততদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যে যান চলাচল করবে তাদের লাইসেন্স এর নিশ্চয়তা, হেলমেট ছাড়া কেউ যেন চলাচল না করতে পারে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার একটি মডেল তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে পথ দেখাতে চাই।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর প্রগতি সরণীতে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেন আবরারের বাবা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর