জাককানইবি র নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নেই কোনো যোগ্যতার উল্লেখ

ফারজানা সকাল, জাককানইবি প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৭ মে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ২৮ মে শিক্ষক নিয়োগের জন্যে মোট ৬৭টি পদের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উক্ত বিজ্ঞাপনে পদের যোগ্যতার বিবরণ উল্লেখ না করে বলা হয়েছে ওয়েবসাইট অনুসরণ করার জন্য। তবে সংবাদ পত্রে প্রকাশের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কোনো বিজ্ঞাপন দেখা যায় নি।

কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় এসেছে রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর তার আস্থা ভাজন একাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টায় তৎপর। এর আগেও রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তাদের পদন্নোতির নিয়ম নিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন। তবে বর্তমান এমন বিতর্ক উঠেছে কর্মকর্তা নিয়োগে ৩টি পদে আসতে পারে তার(ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার) আস্থাভাজন ৩জন। যেখানে অর্থনৈতিক লেনদেন এর সম্ভাবনাও রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা সময়ে পূর্ণ নোটিশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ না করার পেছনে রয়েছে ২৯ মে বুধবার ইউজিসি চেয়ারম্যান এর সাথে উপাচার্য,ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার স্বাক্ষাত। আরো গুঞ্জন উঠেছে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা , পূর্বে নিয়োগ নিয়ে দুদক এর অবস্থান সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান , বর্তমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির যোগ্যতা নিয়ম নিয়েও কথা উঠেছে। এই নিয়োগে পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে এমন নিয়ম করে প্রকাশ পেতে পারে সার্কুলার যা সংবাদ পত্রে প্রকাশ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পাবে এমনটাও অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে একাধিক বিভাগের মধ্যে কথা উঠেছে শিক্ষক নিয়োগ এর ক্ষেত্রে প্ল্যানিং কমিটির প্রস্থাবনার বাইরে এসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রশাসন। যেখানে বিভাগ থেকে ১-২জন প্রভাষক এর চাহিদা দিয়েছে সেখানে প্রশাসন সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক এর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে যা সংশ্লিষ্ট বিভাগ চায় নি। এমন তথ্য একাধিক বিভাগ থেকে পাওয়া গেছে।

এই নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- “প্রথমত আজ ইউজিসি চেয়ারম্যান এর সাথে সাক্ষাৎ এর কারণে ঢাকা ছিলাম। কিছু কাজ অবশিষ্ট ছিলো ৩০ মে সকাল ১১ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে সম্পূর্ন তথ্য প্রকাশ করা হবে। আর শিক্ষক নিয়োগ ইউজিসির নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে আসা পদে ছাড় পেয়েছি আমরা তাই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আমি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি বিষয়টা পরিষ্কার করেছি। আর নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলাদেশের যে কেউ অংশ নিতে পারে। সে আমার, আপনার,রেজিস্ট্রারের স্বজন হতেই পারে। আসল প্রশ্নটা হলো নিয়োগ বোর্ড স্বচ্ছ কিনা। আমাদের নিয়োগ বোর্ডে এমন কেউ থাকবে না যার আত্মীয় নিয়োগে অংশ নিবে।”

উল্লেখ্য এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। তারা সুষ্ঠু নিয়োগ পদ্ধতির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন মতামত লিখেন এবং দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আশাব্যক্ত করেন লেখনীগুলোর মাধ্যমে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর