কান্নার রঙ ছুঁয়ে কেটে গেল ১৩ বছর

আজ ১৯ নভেম্বর। প্রখ্যাত গীতিকার, গায়ক ও সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীর ১৩তম প্রয়াণ দিবস। ‘দলছুট’ ব্যান্ডের এই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ২০০৭ সালের আজকের এই দিনে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। অনেক কালজায়ী গানের স্রষ্টা সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ দিবসে ভক্তকূল তাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করছে।

১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামের গোপাল চৌধুরী ও প্রভাষিনী চৌধুরীর ঘর আলোকিত করে তিনি জন্ম নেন। ৯ ভাই বোনের বেশ বড় পরিবারে সঞ্জীব ছিলেন সপ্তম। হবিগঞ্জে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে তিনি চলে আসেন ঢাকায়। ঐতিহ্যবাহী নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করে মাধ্যমিক। সেবার তিনি মেধা তালিকায় ১২ তম স্থান অধিকার করেন।

ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু নানা কারণে আর হয়ে ওঠা হয়নি গণিতবিদ। স্নাতক শেষ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা মাধ্যম থেকে।

কর্মজীবনে কাজ করে গেছেন দেশের নামকরা সংবাদ মাধ্যমে। জাতীয় দৈনিক আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনে তিনি রেখে গেছেন তার কাজের ছাপ। ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী অগ্নিঝড়া দিনগুলোতে তিনি ছিলেন সোচ্চার। মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে দিয়েছিলেন নেতৃত্ব।

সঞ্জীব চৌধুরীর বিশাল ভক্তকুল সৃষ্টির কারণ মূলত গানের জন্যই। বাপ্পা মজুমদারসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘দলছুট’। দলছুট ব্যান্ডে তিনি কিছু প্রচলিত ও নিজের সৃষ্টি করা গান গেয়ে ও লিখে গড়েন ইতিহাস। তার গাওয়া ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’ কিংবা ‘ভাজ খোলো আনন্দ দেখাও’ গানগুলো এই প্রজন্মের মুখে মুখে এখনও ভেসে বেড়ায়। ‘বায়োস্কোপ’, ‘গাড়ি চলেনা’ কিংবা ‘চল বুবাইজান’-এর মতো কালজয়ী গানগুলোও জনপ্রিয়তা পায় সঞ্জীব চৌধুরীর গলায় ভর করে।

কান্নার রং আর জোছনার ছায়া ছুঁয়ে কেটে যাবে আরও অনন্তকাল। কিন্তু সবার প্রিয় ‘সঞ্জীবদা’ আর গাইবেননা। হয়তো দেখবেন আনন্দলোকে বসে একদল তরুণ গাইছে, ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো, কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে…।’

বার্তাবাজার/এসজে/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর