তিতাসে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে রোল মডেল প্রতিটি ইউনিয়ন

মোঃ আসলাম, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে রোল মডেল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন। বর্তমান সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পেরে মাধ্যমে গ্রামীন সড়ক নির্মান করা হচ্ছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের অধিনে এবং প্রতিটি প্রকল্পের ট্যাগ অফিসার ও স্থানীয় চেয়ারম্যানদের তদারকিতে এসকল গ্রামীন সড়ক নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজ বুধবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘোরে দেখা যায় প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের সাথে সড়ক নির্মানের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যস্থার উন্নতি হয়েছে।

যে সব এলাকায় নৌকাই ছিল এক মাত্র চলার বাহন, সে এলাকায় আজ সি এন জি চালিত অটোরিকশা,রিকশা প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস দিয়ে যাতায়ত করতে পেরে সাদছন্দ বোদ করছে এলাকাবাসী। এই কর্মসূচির মাধ্যমে নির্মীত সড়ক গুলি যেমন হচ্ছে প্রস্থ তেমন হচ্ছে মজবুত। এলাকাবাসী জানায় আগে সড়ক নির্মান করা হলে গাড়ী চলা চলের উপযোগি হতে ৩/৪ বছর সময় লাগতো. আওয়ামীলীগ ক্ষমতার আসার পর থেকে এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্দ্যোগে যে সকল সড়ক নির্মান করা হচ্ছে এসব সড়ক দিয়ে প্রথম বছর থেকেই গাড়ী দিয়ে যাতায়ত করা যায়। তারা আরো জানায় বৃহত্তর দাউদকান্দির উত্তরা লের মানুষের চলা চলের নৌকাই ছিল একমাত্র বাহন। ২০০৪ সালে তিতাস উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই অ লের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হতে শুরু করেছে।

বিষেশ করে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর থেকে গ্রামীন অবাকাঠামো উন্নয়নে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। এবং ইউনিয়নের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতে হলে শুকনা মৌসুমে যেতে হতো পায়ে হেটে এবং বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে এখন তারা ছোট ছোট যানবাহন দিয়ে যাতায়ত করতে পারে,এছারাও গ্রাম থেকে যোগযোগ বিছিন্ন বাড়ি গুলোর সাথেও সড়ক মাধ্যম যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হওয়ায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা,স্থানীয় এমপি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রামীন অবোকাঠামো উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞাতা জানান এবং তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। সাতানী ইউনিয়নের বইদ্বারকান্দি হাশেম মিয়ার বাড়ি হতে নদীর পার পর্যন্ত সড়ক হওয়ায় ওই গ্রামের কৃষক মালেক মিয়া বলেন এই সড়কটি আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। জগতপুর ইউনিয়নের চানপুর পাকা সড়ক হতে ওমরপুর সরকারি প্রাঃ বিঃ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক হওয়াতে ওই গ্রামের নারী পুরুষ খুব খুসি হয়েছে। ওই গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন দেশ স্বাধীনের পর থেকে আমরা নৌকা দিয়ে এবং জমির আইল বেয়ে হাট বাজারে যেতে হতো এবং মাথায় করে আমাদের প্রয়োজনীয় মালামাল আনতে হতো। আজ এই সড়কটি হওয়াতে আমরা ছোট যানবাহন দিয়ে মালামাল আনতে পারি এবং আমাদের গ্রামের ছেলে মেয়েরা সহজে স্কুলে যাতায়ত করতে পারে।

বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি হতে বলরামপুর উত্তর পর্যন্ত এক কিলোমিটার দৈর্ঘ সড়ক নির্মান করার ফলে ওই দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। উলুকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া জানান উলুকান্দি থেকে উত্তর বলরামপুর পর্যন্ত সংযোগ সড়ক হওয়ায় আমাদের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক হয়েছে এবং দ্ইু গ্রামের কৃষকরা কম খরচে মৌসুমী ফসল বাড়িতে নিতে পারে। কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়ি হতে জগতপুর ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রাম পর্যন্ত বিলের মাঝ দিয়ে সড়ক হওয়াতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে এবং কানাইনগর গ্রামের মোজাম্মেল হক টিটু বলে এই রাস্তা হওয়াতে আমরা খুব সহজে এবং কম খরচে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবো। কলাকান্দি ইউনিয়নের হাড়াইকান্দি গ্রাম হতে চকের বাড়ির সেন্টু মিয়ার বাড়ি হয়ে মাছিমপুর -খানেবাড়ি পাকা সড়কের খোকন মিয়ার সমেইল পর্যন্ত নতুন সড়ক হওয়ায় গ্রামবাসী সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। ওই গ্রামের মিন্টু মিয়া বলেন আমাদের গ্রামের মানুষের এক বছর পূর্বেও আমরা নৌকা দিয়ে ঈদগা মাঠে যেতে হতো এখন আমরা সড়ক পথে ঈদগা মাঠে যেতে পারি এবং ছোট যানবাহন দিয়ে বারী মালামাল বাড়িতে আনতে পারি।

ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দাসকান্দি বেরীবাদ সংলগ্ন মসজিদ থেকে পোড়াকান্দি গ্রামের কাশেম মোল্লার পুকুর পার হয়ে নাছির মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক হওয়ার ফলে ওই গ্রামের কৃষক শাজাহান বলেন আগে আমরা গ্রামের শরু পথ দিয়ে যাতায়ত করতে হতো এখন এই রাস্তাটি হওয়াতে আমরা সিএনজি যোগে আসা যাওয়া করতে পারবো। নারান্দিয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের ইয়ামিন জানান বালুয়াকান্দি হতে আমাদের সোনাকান্দা পর্যন্ত সড়ক হওয়াতে আজ দুই বছর ধরে আমরা সিএনজি দিয়ে আসা যাওয়া করি এর আগে জমির আইল দিয়ে হেটে হাট বাজারে যেতে হতো। জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের সোলাকান্দি হইতে একই ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামে সংযোগ সড়ক হওয়ায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক হয়েছে বলে জানান দড়িকান্দি গ্রামের জিলানী এবং জাতীয় নির্বাচনে ও উপজেলা নির্বাচনে সোলাকান্দি গ্রামের ভোটারা জমির আইল বেয়ে ভোট দিতে দড়িকান্দি আসতে হতো এখন সড়ক পথে খুব সহজে তারা ভোট দিতে আসতে পারে।

মজিদপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামের কাশেম খানের বাড়ি হতে মৌটুপি দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত নতুন সড়ক হওয়াতে ইউসুফপুর,নলচর গ্রামের শিক্ষার্থীরা খুব কম সময়ে এবং খুব সহজ পথে মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতে পারছে। এছরাও গ্রাম থেকে যোগাযোগ বিছিন্ন বাড়ি গোলুর লোকজনদের যাতায়তের সুযোগ হয়েছে বলে জানান ওই গ্রামের জালাল খান। এদিকে স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন মূলক প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করে গ্রাম অ লের সকল পেশা শ্রেনীর মানুষকে উপকার ভোগি করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর