শেষ মুহুর্তে সাতক্ষীরায় টুপি, জায়নামাজের দোকানে উপছে পড়া ভিড়

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতর আসন্ন। টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে এখন উপছে পড়া ভিড়। বুধবার ২৩ রমজান সাতক্ষীরা শহরের থানা মসজিদ এলাকায় টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে এখন উপছে পড়া ভিড়। ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে যাবেন নতুন পাঞ্জাবি পরে, তাতে আতরের সুবাস আর মাথায় টুপি না থাকলে কি আর চলে! নতুন পোশাক কেনার পর ক্রেতারা তাই ভিড় জমাচ্ছে টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে। শহরের থানা মসজিদ সড়কে পুঁথিঘর লাইব্রেরি, মাদ্রাসা লাইব্রেরি, শহিদ নাজমুল স্মরনীস্থ আরমান ষ্টোর, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মার্কেটের সালেহিয়া লাইব্রেরিসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে আতর-তসবির বিক্রিবাট্টা বেশ জমে উঠেছে। বিভিন্ন দামের বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে টুপি, তসবি, সুরমা ও জায়নামাজ। দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজার মাসের শুরু থেকেই টুপি-আতর-তসবির বিক্রি বেড়ে যায়।

আর কেনাবেচার এই রমরমা ভাব চলবে ঈদের নামাজের আগ পর্যন্ত। থানা মসজিদ সড়কের পুঁথিঘরের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. মহিদুর রহমান জানান, আবা, মাথার বেড়ি, জায়নামাজ, টুপি ছাড়াও গুলবাহার, গুল রেডরোজ, লায়লা, বেলি, অ্যারাবিয়ান, জুঁই, বকুল, মর্নিং কুইন, চামেলি, জেসমিন, গোলাপ বাহার, শাহি দরবারসহ দেশি-বিদেশি আতর পাওয়া যাচ্ছে। কম দামের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি চলছে, জান্নাতুল ফেরদাউস, রজনীগন্ধা, বকুল আর বেলিফুলের আতর। প্রতি তোলার দাম পড়ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। এ ছাড়া বডি স্প্রের মতো ওয়ান ম্যান শো, আল হারমাইন মদিনা, মেইজ, সানডে, এক্সের চাহিদাও রয়েছে অনেক। বডি স্প্রের মতো এসব সুগন্ধি কিনছেন মূলত তরুণেরা। মধ্যম দামের মধ্যেও রয়েছে নানা ধরনের আতর। বেশি দামের আতরের মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার টাকা তোলা দরে আল হারমাইন শেখ, সৌদি আরবের ১২ হাজার টাকা প্রতি তোলা দরে আতর। সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন পুথিঘর লাইব্রেরি থেকে কাঁচা বেলির এক তোলা আতর কিনলেন। বললেন, ‘ছেলে, নাতি আর আমি সবাই মিলে আতর মেখেই ঈদগাহে যাব।’ পুঁথিঘর লাইব্রেরিতে দেখা মিলল দুই ভাই আকিব ও আপন। পছন্দের টুপি তাঁরা বেছে নিচ্ছিলেন। এক ভাই আকিব এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করা সবই শেষ। আগামীকাল গ্রামের বাড়ি যাব।’ পাশের দোকানে পাথরের পুঁতির তসবি আর জায়নামাজ কিনলেন এক দম্পতি।

টুপির দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ১০ টাকা থেকে শুরু করে টুপি এবং ভাল পুঁতির কাজ করা টুপি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। গোল টুপির দাম ৫০ থেকে ৫০০ টাকা। বাচ্চাদের চুমকি বসানো টুপি মিলবে ১০০-২৫০ টাকায়। সোনালি সুতার কাজ করা টুপি পাবেন ৭০০ থেকে ১,৩০০ টাকা। আর সাধারণ টুপির দাম পড়বে ৫০ থেকে ১২০ টাকা। টুপির পাশাপাশি অনেকে হাজি রুমাল ব্যবহার করে থাকেন। দোকানগুলোতে বাংলাদেশ ছাড়াও দুবাই, কাশ্মীর ও চায়নার হাজি রুমাল পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচশ’ টাকার মধ্যে। ঈদে আতর শৌখিনতার প্রতীক। থানা মসজিদ ও তার আশপাশ এলাকা, নিউমার্কেট এলাকায় টুপি-আতরের দোকানে ভিড় জমেছে। ঈদ বাজার করতে আসা শ্যামনগরের দিদার শেখ জানান, ঈদের দিন সকালে নতুন পায়জামা-পাঞ্জাবির সঙ্গে দরকার পড়বে আতর, টুপি, তসবি ও জায়নামাজ। তাই ঈদের কেনাকাটায় শেষ মুহূর্তে এসব দোকানে ভিড় করছেন অনেকেই।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর