রাষ্ট্রের ভেতর ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির কারনেই খাদ্যে ভেজাল

রাষ্ট্রের ভেতরে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত এক গোলটেবিল বৈঠকের বক্তারা। মানুষের খাদ্য থেকে শুরু করে প্রাণীখাদ্যে পর্যন্ত ভেজাল ঢুকে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে দায়ী করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সাওল হার্ট সেন্টার আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্যের স্বরূপ সন্ধানে’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব বিষয়ে কথা বলেন বক্তারা।

লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের ভেতরে একটা রোগ ঢুকে পড়েছে, সেটা দুনীতি। দেশে যখন রাজনীতি নষ্ট হয়ে যায়, তখন খাদ্য ভালো রাখবেন, সেটা তো হয় না। দেশ ভালোভাবে চললে, রাজনীতি ভালোভাবে চললে, কখনোই খাদ্যে ভেজাল হতো না।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপদ হলো নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সংকট। মেধাবী জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। ভেজাল খাদ্যের জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা যেমন দায়ী, তেমনি জনগণের সচেতনতার অভাবও দায়ী। সেজন্য নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।’

মানবধিকারকর্মী খুশি কবির বলেন, ‘গরু ও মাছের জন্য যে ফিড সেটা খারাপ, ডিমটা যে খাবো সেটাও। এখন দেখা যাচ্ছে দুধেরও একই অবস্থা। কী কারণে আমাদের এখনও ক্যান্সার হয়নি, সেটা এখন গবেষণার বিষয়।’

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, ‘খাদ্য সরবরাহ চেইনও দূষণমুক্ত হতে হবে।’

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘ভেজাল রাজনীতির কারণে খাদ্যেও ভেজাল ঢুকেছে। উভয় ভেজালের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।’

গোলটেবিল বৈঠকে সাওল হার্ট সেন্টার বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান কবি মোহন রায়হান, বিএমএ-এর সাবেক মহাসচিব ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মো. ইফতেখার, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি ও অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর