গত ১৮ মে শনিবার রাতে সদ্য নবজাতক শিশুকে নিয়ে নেত্রকোনা পৌর শহরের জয়নগর এলাকার বাসিন্দা আমেনা আক্তারের বাসায় আশ্রয়ের পরের দিন সকালে নবজাতককে রেখে পালিয়ে যায় বাকপ্রতিবন্ধী মা।
পরে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ ও নেত্রকোনা সমাজ সেবার সহযোগিতায় ‘সেই নবজাতকের’ আশ্রয় স্থান হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত ঢাকা আজিমপুরের ছোট মনি নিবাসে।
১০ দিন পর মঙ্গলবার সকালে আশ্রয়দাতা আমেনা আক্তাররের বাড়িতে হঠাৎ হাজির হয় সেই নবজাতকের বাকপ্রতিবন্ধী মা। সঙ্গে সঙ্গে আমেনা আক্তার পুলিশে খবর দেয়। পরে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ মহিলাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
আশ্রয়দাতা আমেনা আক্তার বলেন, ১৩ মে সন্ধ্যায় আমার বাসার সামনে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন ওই বাকপ্রতিবন্ধী নারী। পরে তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন সে।
তিনি বলেন, ১৮ মে সন্ধ্যায় এ সন্তান নিয়ে এসে আশ্রয় চাইলে তাদের আশ্রয় দেয়ার পর সন্তান রেখে ওই মা পালিয়ে যায়। পরে আমি থানায় জিডি করলে পুলিশ ও সমাজ সেবার সহযোগিতায় শিশুটিকে ঢাকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধিনে পরিচালিত ঢাকা আজিমপুরের ছোট মনি নিবাসে রেখে আসি।
আমেনা আক্তার বলেন, কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) হঠাৎ শিশুটির বাকপ্রতিবন্ধী মা এসে হাজির হলে আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, নবজাতকের বাকপ্রতিবন্ধী মার কোনো কথায় আমরা বুঝতে পারছিলাম না। সে কোথায় থাকে জানতে চাইলে আমাদের ইশারায় আনন্দ বাজার এলাকায় থাকে বুঝায়। পরে তাকে নিয়ে আনন্দ বাজার এলাকায় গিয়ে সন্ধান মিলে তার স্বামী জলিল মেম্বারের। জলিল চল্লিশা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ছিল বলে জানায়। তার বয়স প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি। সেইও আমাদের থানা হাফাজতে আছে।
নেত্রকোনা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা বাকপ্রতিবন্ধী মহিলাটির বাড়ির খোজ বের করার চেষ্টা করছি। সে বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তথ্য নিতে সমস্যা হচ্ছে। মহিলাটির ইশারায় তথ্য অনুযায়ী তার স্বামীকে খুজে পেয়েছি। স্বামী জলিল মেম্বার তিনি নাকি একাধিক বিয়ে করেছে।
তবে এই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবে বলেও জানান তি