রেলপথ স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত: রেলমন্ত্রী

ফরিদপুরের কামারখালী বাজারের মধ্য দিয়ে রেলপথ যাওয়ার ব্যাপারে মতবিরোধ থাকায় রেলমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা যদি রেলপথ চান তাহলে একটু ছাড় দিতে হবে। যদি বাজারের ভিতর দিয়ে রেলপথ না যেতে দিতে চান তাহলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। সেখানেও আপনাদের জমি দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে দুই-তিন বছর সময় লাগবে।

তিনি বলেন, আপনারা চাইলে আগামী জানুয়ারীতেই রেলপথের কাজ শুরু হবে। সর্বোপরি আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে রেলপথ স্থাপন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করবো । তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটাই চূড়ান্ত হবে।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কামারখালী বাজারে কামারখালী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মতিউল ইসলাম মুরাদের সভাপতিত্বে এবং কামারখালী বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও আড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আরমান হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পথসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ মোঃ আব্দুর রহমান।

মন্ত্রী বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন এম.পি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমানের প্রচেষ্টায় টুঙ্গিপাড়া-রাজশাহী রেলপথ চালু হয়। মাগুরা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস ও মাগুরা-১ আসনের বর্তমান সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর।

আব্দুর রহমানের সহোযোগিতায় মধুখালি-মাগুরা রেলপথ বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়। অতীতে মধুখালি থেকে কামারখালি রেলপথ থাকলেও দীর্ঘদিন রেল চলাচল বন্ধ থাকায় রেলের জায়গা বেদখল হয়ে যায়। সেই বেদখল হওয়া রেললাইন বর্ধিত করে মাগুরা পর্যন্ত রেললাইন (২১কিমি) প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মনজুর হোসেন, মাগুরা -১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সাইফুজ্জামান শিখর, মধুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. রেজাউল হক বকুসহ ফরিদপুর ও মাগুরা জেলা এবং মধুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর