অনুমোদন না থাকলেও বরিশাল নগরী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হলুদ অটোরিকশা

সড়কে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশের জোরালো ভূমিকা থাকলেও বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অনুমোদনবিহীন ব্যাটারী চালিত হলুদ অটোরিকশা। কিন্তু রহস্যজনক কারনে অবৈধ এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

যদিও এ বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জাকির হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, হলুদ অটোরিকশা অবৈধ যানবাহন। এর বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের নিয়মিত অভিযান চলমান আছে। তিনি বলেন, হলুদ অটো থেকে কেউ অবৈধভাবে লাভবান হচ্ছে কিনা তা জানা নেই। এমন অভিযোগ কেউ দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল নগরীর রুপাতলি মেসার্স লিলি ফিলিং স্টেশনের বিপরীতে ব্যাটারী চালিত হলুদ অটো শ্রমিক সংগঠনে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চালানো হয়। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বলছে নগরীতে ২৬১০টি হলুদ অটো রিকশার লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু দেড় বছরের অধিক সময় ওই লাইসেন্সেরও নবায়ন করছে না নগর ভবন। ফলে সেগুলোও অবৈধ। অবৈধ এসব গাড়ি চলাচল করে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা ভংগুর করে দেওয়ায় গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রধান সড়ক সমূহে চলাচলে রহিত করে সিটি কর্পোরেশন এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

তবে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সিটি কর্পোরেশনের দেওয়া ২৬১০ টি অটোরিকশার লাইসেন্স থাকলেও বিটমানির মাধ্যমে কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যাটারী চালিত হলুদ অটো চলাচল করে। ওই নেতা জানান, প্রতিটি অটোরিকশাকে ‘বরিশাল জেলা ও মহানগর ‍ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা শ্রমিক কল্যান সংগঠন’ এর নামে এক হাজার থেকে ১২ শ’ টাকা উত্তোলন করা হয়। ওই সূত্রের দাবী, শুধুমাত্র হলুদ অটো রিকশা খাত থেকে মাসে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা বিটমানি ওঠে। যে টাকা স্থানীয় কতিপয় অসাধু নেতা, কথিত সাংবাদিক, প্রশাসনিক লোক এবং ব্যাটারী চালিত হলুদ অটো শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, বিটমানি উত্তালোন করে থাকেন কেডিসির লেদু সিকদার, রুপাতলির জামাল গাজী, চৌমাথার আফজাল মজুমদার, করিম, নথুল্লাবাদের যাত্রা কালাম, শায়েস্তাবাদের বিএনপি নেতা মোশারেফ গাজী, পলাশপুরের রব।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ও মহানগর ‍ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা শ্রমিক কল্যান সংগঠনের সভাপতি লেদু সিকদার বলেন, হলুদ অটো নগরীতে চলাচলের কোন অনুমতি নেই। তারপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে চলাচল করছে। এই গাড়ি থেকে সরকার যে টাকা উত্তোলনের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে আমরা সেটাই উত্তোলন করছি। আর যা উত্তোলন করছি তাতো সবাইকে দিয়ে খাচ্ছি।

কোষাধ্যক্ষ জামাল গাজী বলেন, হলুট অটো থেকে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে উত্তােলন করি। বিট মানির টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, তা মোবাইলে জানানো যাবে না।

এ ছাড়া সংগঠনের সহ-সভাপতি আফজাল মজুমদার অসুস্থ্য থাকায় কথা বলেননি। নথুল্লাবাদের যাত্রা কালাম, শায়েস্তাবাদের মোশারেফ গাজী এবং পলাশপুরের রব সার্বিক বিষয় নিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলতে অনুরোধ করেন।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর