শিশু কন্যাকে ধর্ষণ, লম্পট বাবা কারাগারে

বিকৃত রুচি ও নৈতিক স্খলনের ফলে সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গম করাটাই ধর্ষণ নামে পরিচিত হয়ে বর্তমানে একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তবে বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ঔরষজাত ১২ বছর বয়সী কন্যা ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করার দায়ে ৩১ অক্টোবর শনিবার সকালে কারাগারে গেলো পিতা আব্দুল খালেক(৪৫)।

এমন ধর্ষণের ঘটনা ২০ অক্টোবর গভীর রাতে বগুড়ার শেরপুরের বাগড়া বস্তি এলাকায় ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর শুক্রবার রাতে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া বস্তি এলাকার মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক ও তার ১ম স্ত্রী লাভলী ওরফে লাবনী খাতুনের ঘরে প্রায় ১২ বছর আগে জন্ম নেয় শিশু কন্যা লাকী খাতুন। এরপর লাবনী খাতুন তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় আব্দুল খালেক পুনরায় ঝর্ণা খাতুনকে বিয়ে করে ওই শিশুকন্যাকে নিয়ে শহরতলীর দাড়কিপাড়াস্থ একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। এর প্রেক্ষিতে পিতা আব্দুল খালেক গত ২০ অক্টোবর রাতে তার স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন চাতালে কাজ করতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে পাষণ্ড পিতা আব্দুল খালেক তার বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে নিজের ঔরষজাত সন্তান ১২ বছর বয়সী শিশু উপজেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং এঘটনা কাউকে না বলতে ভয়ভীতি দেখায়।

পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ধর্ষক পিতা আব্দুল খালেককে আটক করে তার স্বীকারোক্তি নেয় এবং থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় ওই শিশু কন্যার মা লাভলী ওরফে লাবনী খাতুন বাদি হয়ে গত শুক্রবার রাতে শেরপুর থানায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করায় তার প্রাক্তন স্বামী আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, পিতা কর্তৃক কন্যাকে ধর্ষনের দায়ে মামলা দায়ের হয়েছে এবং ধর্ষককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর