গণমাধ্যম জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ: ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

গণমাধ্যম জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য জনমত তৈরিতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ সময় তিনি জনস্বার্থে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজত জয়ন্তী’তে ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন তথ্য প্রবাহের সুবর্ণ সময় অতিবাহিত করছে। আইসিটি’র সহজলভ্যতার ফলে তথ্য প্রবাহের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। এ সময় তিনি বলেন, নারীরা এখন সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে- যা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ও নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমকে বিবেচনা করা হয়। শক্তিশালী গণমাধ্যম রাষ্ট্রযন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার চালিকাশক্তি। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণকে উজ্জীবিত করতে গণমাধ্যমগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানান।

সবশেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৫ জন সাংবাদিককে ১৪টি বিষয়ে ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন।

ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যরা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা, সাংবাদিকরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর