আজ বাঙালীর গৃহে পূজিত হচ্ছেন দেবী লক্ষ্মী

প্রতিবছরের মতো বাঙালীর ঘরে ঘরে ঐশ্বর্যের প্রতিক ছড়াতে এবারও এসেছেন ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী। সনাতন ধর্মের মানুষদের বিশ্বাস থেকে ধন, সম্পদ, ঐশ্বর্য, যশ, খ্যাতির দেবী লক্ষ্মীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম হিন্দু উৎসব। গৃহের গৃহবধু,সধবা স্ত্রীরা এ দিন বিশেষভাবে পূজা করেন দেবী লক্ষ্মীর।

দেবী লক্ষ্মীকে কেউ কেউ কমলা বা রুক্মিনী হিসেবেও জানেন। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধা ৫টা ৫০ মিনিটে শুরু হচ্ছে শারদ পূর্নিমা বা কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্নিমা তিথি, যা শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৭টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত থাকছে। তিথি ২ দিন থাকায় এবার ৩০ ও ৩১ তারিখে পূজা হচ্ছে দেবী লক্ষ্মীর। তবে অধিকাংশ মানুষ আজ পূর্ণলগ্নে দেবীর আরাধনা করছেন। দেশের বেশ কয়েকটি অস্থায়ী মণ্ডপ, মন্দির ও বাড়িতে বাড়িতে চলছে দেবী লক্ষ্মীর পূজার আরাধনার প্রস্ততি।

দেবী লক্ষ্মীর ডান হাতে পদ্মফুল থাকে এবং সেই হাতে আর্শীবাদ দেন ভক্তদের। অন্যহাতে ধানের ঝাপি ও ধানের শীষের ছড়া শোভা পায়। তিনি পদ্মফুলের উপর বসে থাকেন, তার পায়ের কাছে শোভা পায় বাহন পেঁচা। সারা শরীর বিভিন্ন রত্ন অলংকারে ভূষিতা তিনি। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের পূর্নিমা তিথিতে লক্ষ্মী পূজা আয়োজিত হয়। তিথিটি বৈষ্ণব অনুসারীদের কাছে রাস পূর্ণিমা বা শারদ পূর্নিমা নামেও পরিচিত।

দেবী সরস্বতীকে কেউ কেউ বীণাপাণি বা বাগদেবী হিসেবেও জানেন। ছবি: লেখক এদিন দেবীর কাছে ধন-সম্পদ আর ঐশ্বর্য্য অর্জনের প্রার্থনা করেন ভক্তরা। পূজার সময় ভক্তরা প্রিয় দেবীর শ্রীচরণে অঞ্জলি প্রদান করে থাকেন।

এ ছাড়া পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ভক্তরাও সে মন্ত্র মনে মনে পাঠ করতে থাকেন এবং দেবীকে স্মরণ করেন। কোজাগরী পূর্নিমার দিন সন্ধায় লক্ষ্মী পূজা সম্পন্ন করা হয়। লক্ষ্মী পূজা সাধারণ পূজার নিয়মেই হয়। তবে এতে কয়েকটি সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে অভ্র-আবির, পদ্মফুল, কাসার বা মাটির বাসন, ধানের শিষ, গোলাপী বা লাল রঙের ফুল অন্যতম।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর