বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে জড়িত স্বামী ও ভাশুরও
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলোচিত ঘটনা নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে বের হয়েছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রশাসনের গাফিলতি ছাড়াও ভুক্তভোগীর স্বামী ও ভাশুর এই ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানানো হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম ও বিচারপতি মো. মো. মজিবুর রহমান মিয়ার বেঞ্চে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন দেখে ঘটনার মূল হোতা দেলোয়ারের বিষয়ে হাই কোর্ট বলেছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সে এ ক্ষমতা পেয়েছে। একইসাথে সুন্দর প্রতিবেদনের জন্য অনুসন্ধান কমিটিকে ধন্যবাদ জানায় আদালত।
এ ছাড়া এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর দিন ঠিক করেছে হাই কোর্ট। এর আগে হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত এ তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। এ ছাড়া নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে হাই কোর্টকে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ওই ভিডিও ফুটেজটির একটি কপি সংরক্ষণ করেছে বিটিআরসি।
প্রতিবেদনটির বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী জানান, ঘটনার দিন ওই নারীর স্বামীকে বেঁধে রাখার বিষয়টি প্রচার হলেও তদন্ত প্রতিবেদনে সেই নারীর স্বামী ও ভাসুরের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া প্রতিবেদনে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অবহেলা পাওয়া গেছে। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
বার্তাবাজার/এসজে