ওয়েলকাম ব্যাক সাকিব আল হাসান

দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর পেরিয়ে এখন নিষেধাজ্ঞা মুক্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। আবারো বিশ্ব ক্রিকেটে ডানা মেলে মুক্ত আকাশে উড়বেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দেশসেরা অলরাউন্ডারের দুই বছরের শাস্তির মেয়াদের প্রথম বছরটা শেষ হয়ে এখন তিনি ‘পূর্ণ মুক্তও।

কোটি সাকিব ভক্তদের‘মুক্তি’র প্রহর গূনার পালা এখন শেষ। আজ থেকে সবধরনের ক্রিকেটে ফিরলেন তিনি। গতকাল পূর্ণ হবে নিষেধাজ্ঞার কার্যকরী একবছর। দ্বিতীয় বছরটা যে স্থগিত নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। আর শাস্তির প্রথম বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলায় টাইগার তারকা এখন একেবারে মুক্তির দুয়ারে।

আর একটা দিন সব ঠিকঠাক এগোলে, নভেম্বরের মাঝামাঝি মিরপুরে ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠের খেলায় ফিরতে পারবেন সাকিব। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অবশ্য নিশ্চিত করেই জানালেন,নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বছর পূর্তির পরদিন থেকেই তার খেলতে বাধা নেই।

আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। এরমাঝে দ্বিতীয় বছরটা স্থগিত নিষেধাজ্ঞার। প্রথম বছরে সাকিব ছিলেন খুবই সতর্ক। বিতর্ক তৈরি করে এমনকিছুই করেননি। নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন নিষেধাজ্ঞার সময়টায়।

বছরের বেশিটা সময় সাকিবের কেটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে। এর মাঝে দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার। গত মাসে এসেছিলেন দেশে। বিকেএসপিতে করেছেন ব্যক্তিগত অনুশীলন ক্যাম্প। বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হলে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে, পরিবারের কাছে।

নভেম্বরের শুরুর দিকে সাকিব ফিরবেন দেশে। প্রস্তুতি নেবেন মাঠে নামার। তাকে ফের দেখা যাবে ব্যাট-বল হাতে ২২ গজ রাঙাতে। সেই ছবিটা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন সবাই, সাকিবও নিশ্চয় মুখিয়ে আছেন হোম অব ক্রিকেটে ফিরতে!

যা মিস করেছেন সাকিব

ভারত সফর

২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর পরই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ভারতে যায় বাংলাদেশ দল। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবের এমন খবরে লাগে বিশাল ধাক্কা। মুমিনুল হককে টেস্ট ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব।

নভেম্বরে ভারতের মাঠে টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ হারলেও করতে পেরেছিল লড়াই। কিন্তু সাকিববিহীন দুই টেস্টের ফল হয়েছে যাচ্ছেতাই।

পাকিস্তান সফর

নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তান সফরে যাওয়া নিয়ে ছিল সংশয়। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় সেখানে দুই দফায় যায় বাংলাদেশ। জানুয়ারিতে প্রথমে খেলে আসে দুই টি-টোয়েন্টি। ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে খেলে এক টেস্ট। সাকিবকে ছাড়া একদমই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ।

পাকিস্তান থেকে ফিরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট দিয়ে শুরু হয় সিরিজ। তাতে দাপটেই জিতে মুমিনুল হকরা। মার্চে তিন ওয়ানডের সিরিজেও ছিল বাংলাদেশের দাপট। এই সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরে দুই টি-টোয়েন্টিতেও সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে পাত্তা দেয়নি।

এরপরই শুরু ক’রোনা বিরতি। বন্ধ থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কিছু ম্যাচের পর হয়নি ঘরোয়া কোনো খেলাও। তবে সাকিব খেলতে পারেননি সর্বশেষ বিপিএল। এছাড়া চলমান আইপিএলও তার মিসের তালিকায় ফেলা যায়।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর