১২ দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করতেন ইরফান সেলিম!

সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের ৭০ জনের বেশি সদস্যের এক শক্তিশালী গ্যাং আছে। ওয়াকিটকি মাধ্যমে তাদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান যোগাযোগ রক্ষা করতেন ইরফান। নিজের চলাফেরার জন্য সব সময় পাশে রাখতেন ১২ জন দেহরক্ষী।

র‌্যাব জানিয়েছে, অধিকাংশ দেহরক্ষীরই অবৈধ অস্ত্র আছে। ব্যবহারের চেয়ে ভয়ভীতি দেখানোর কাজে ব্যবহার করা হত এসব অস্ত্র। এই অস্ত্রগুলো অবৈধ পথে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা। গতকাল মঙ্গলবার তার দেহরক্ষী জাহিদুলের কাছ থেকে এমনই একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, দেহরক্ষীদের সঙ্গে নিয়মিত মদ পান করেন ইরফান। ঘটনার দিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খানকে যখন মারধর করা হয় তখনো তিনি মাদক সেবন করেছিলেন। মদ খেয়ে মাতাল অবস্থাতেই মারধর করেন তিনি। ঘটনার পর বাসায় ফিরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন ইরফান। এই মারধরের পরিণাম ভাল হবে না ভেবে আবার দাদা বাড়ীর চারতালায় নিজের বারে ঢুকে সারারাত মদ পান করেন। অভিযান শুরু হলে র‌্যাবকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। নিজের মদ পানের কথাও স্বীকার করেন। অভিযান চলাকালীন সময়েই তার ডোপ টেস্ট করে র‌্যাব। সেটার রেজাল্টও পজিটিভ আসে।

র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ দুইটি অস্ত্র, মদ, বিয়ার, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও ভিএইএফ ডিভাইসযুক্ত ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন জব্দ করা হয়। এরপর মদ্যপান ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ইরফানকে ১বছর ৬ মাসের সাজা দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার দেহরক্ষী জাহিদুলকে বেআইনি ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ছয় মাসের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিম আহমদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমসহ তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলাম, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক দিপু ও অজ্ঞাতনামা তিন জনসহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নৌবাহিনী কর্মকর্তা। ওই রাতেই হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর