লালমনিরহাটে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় খলিল মিয়া(৩১) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয় জনতা।

মঙ্গলবার(২৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ(এমপি) এর বাসার সামনে প্রায় ৩ ঘন্টা খলিলের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে কয়েক শত বিক্ষুপ্তজনতা।

এসময় খলিলের মৃত্যুর জন্য উত্তরবাংলা কলেজের প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্নাকে দায়ী করে তাকে গ্রেফতার এবং তামান্না কে সহযোগিতা করার জন্য কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের প্রত্যাহার সহ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে তামান্নার দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার দাবী জানায় বিক্ষোভকারীরা।

স্থানীয়রা জানায়,কালীগঞ্জের কাশিরাম এলাকার বাসিন্দা ফজলু মাস্টারের মেয়ে ও কাকিনা উত্তরবাংলা কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্না ওই এলাকায় স্থানীয় লোকজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানী করে আসছে।

সম্প্রতি সময় তার দায়ের করা মামলায় লালমনিরহাট আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ২২ অক্টোবর সড়ক দূঘর্টনায় আহত হয়ে ২৬ অক্টোবর সোমবার মারা যায় তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের আবদার মুন্সির ছেলে খলিল নামে ওই শ্রমিক। অভিযোগ উঠে, ওই শ্রমিক খলিলকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ওই প্রভাষক তামান্না।

স্থানীয়দের অভিযোগ,প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্নাকে এসব কাজে সহযোগিতা করে আসছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।

অবরোধস্থলে পুলিশ নিয়ে এসে কালীগঞ্জের এসিল্যান্ড ও ইউএনও বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে না পারলে পরবর্তীতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ(এমপি) বিক্ষোভকারীদের সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ তুলে নেয়।

বিক্ষোভ ও অবরোধের পর নিহত খলিলের স্ত্রী পেয়ারী বেগম কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে দাবি করেন তার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে দূর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে যোগাযোগ করা হলে এস. তাবাসুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না জানান,তার বৃদ্ধা মা ও তিনি ছাড়া দেশে আপনজন বলতে তার কেউ নেই। কিন্তু তার বাবার রেখে যাওয়া বিশাল সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়েই আজ তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। যাতে করে সম্পদগুলো খুব সহজেই তারা কব্জা করে নিতে পারে।

অপরদিকে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান,তার বিরুদ্ধে আনিত বিক্ষোভকারীদের সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এবিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন,পুরো বিষয়টি তদন্তকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সহ সব অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর