প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, পুলিশ হেফাজতে এএসআই

রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক স্কুলছাত্রীকে অন্যের বাসায় ডেকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই’র বিরুদ্ধে। তার নাম রায়হানুল ইসলাম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকালে মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ক্যাদারের পুল এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বাসা থেকে আলেয়া (৩৫) নামের এক ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগী সুরভীকে আটক করা হয়।

এ সময় ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সম্প্রতি হারাগাছ থানা থেকে বদলি হওয়া রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। মেয়েটির সঙ্গে পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান।

সম্পর্কের সূত্র ধরে রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে ক্যাদারের পুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে ডেকে নেন রায়হানুল। সেখানে রায়হানুল ধর্ষণের পর তার আরও কয়েকজন পরিচিত যুবক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে কৌশলে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ থানা পুলিশ নির্যাতিতা ছাত্রীকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে তার পরিবারকে খবর দেয়। পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রায়হানুলসহ অজ্ঞাত কয়েকজকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুলের সঙ্গে আমার মেয়ে কথা বলত এবং মাঝেমধ্যে দেখাসাক্ষাৎ করত।’

মামলার সাক্ষী ভুক্তভোগীর পাশের বাড়ির চাচা আতিয়ার রহমান বলেন, ‘মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আমার ভাতিজির সঙ্গে পরিচয় হয় এএসআই রায়হানুলের। তারপর থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। আমার ভাতিজি তার সঙ্গে কথাবার্তা বলত।’

রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) আল ইমরান জানান, অসুস্থ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাতে রংপুর মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে তাকে দুইজন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে রাজু নামের একজন পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছে মেয়েটি। ওই রাজু ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল কিনা তা নিশ্চিত হতে রায়হানুলকেও পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।’

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর