পাকুন্দিয়ায় সবজির বাজার মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে
শাকসবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যে ‘আগুন’ লেগেছে। বর্তমান সময়ে এই লাগামহীন ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজারে মধ্যম আয় বা প্রান্তিক কিংবা খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয় সীমার বাহিরে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কয়েকটি সবজি দোকানে ঘুরে ক্রেতাদের মাঝে দেখা গেছে একরকম অস্থিরতা। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের বাজারের এমন ঊর্ধ্বমুখীতে সংসার চালাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের।
বেগুন ৬০ টাকা, পোটল ৬০, করোলা ৭০, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০, শুকনা মরিচ ২২০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৩০, আলু ৩০-৫০ , ডিম ৩৬, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৪০, লাউ ৫০-৬০, সিম ১২০ কচুরবই ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। প্রকারভেদে চালের বাজারেও (বেশি দামের কারণে) বেড়েছে অস্থিরতা।
স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী রুবেল মিয়ার সঙ্গে কথা হলে বলেন, এবার অতিবৃষ্টি ও বন্যায় অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়েছে। আমরা কিনছি বেশি দামে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সবজি কিনতে আসা বিল্লাল হোসেন বলেন বাজার করতে এসে দেখি সবজির যে দাম, পকেটে হাত ঢোকাতেই পারছি না। এভাবে আর কতদিন চলবে।
ক্রেতা রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, বাজারের যা অবস্থা মধ্যম ও নিন্মমধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয় সীমার বাহিরে যেখানে আগে সপ্তাহে এক থেকে দেড়হাজার টাকায় বাজার লাগতো এখন সেখানে তিন হাজার টাকায় হয়না। আয় কমেছে কিন্তু খরচ বেড়েছে তিনগুণ।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, এবার অতিবর্ষণ ও বন্যার কারণে বাজারে সবজি না থাকায় দাম বেড়েছে। দোকানিরা দাম যেন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি না নিতে পারে তার জন্য বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নতুন সবজি বাজারে এলে দাম কমবে।
বার্তাবাজার/কে.জে.পি