স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজ সেই ৫ জনের মৃত্যুতে মামলা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সেই পাঁচজন যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় মেরিন কোর্টে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা মো. সাদিকুর রহমান জানিয়েছেন, একাধিক ধারা উল্লেখ করে পটুয়াখালী নদী বন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন স্পিডবোট পরিচালনাকারী এবং এসপিবি বেনজীর আহমেদ-১ স্পিডবোটের চালক। তবে ‘তদন্তের স্বার্থে’তাদের নাম জানানো হয়নি।

বন্দর কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান জানান, একাধিক অপরাধে মামলাটি করা হয়েছে। তার মধ্যে বৈরী আবহাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা, যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ না করা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পারাপার ইত্যাদি।

তিনি জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

নিখোঁজের পর নিহতরা হলেন, কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের বাহেরচর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন, রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনেস্টবল মো. মহিব্বুল্লাহ, দিনমজুর মো. ইমরান ও মো. হাসান মিয়া। সবার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।

এই কর্মকর্তা আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে স্পিডবোট এসপিবি বেনজীর আহমেদ-১ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে জেলার মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি লঞ্চঘাট যাওয়ার পথে আগুনমুখা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে তলা ফেটে স্পিডবোটটি ডুবে যায়।

স্পিডবোট ডুবার খবর পেয়ে অন্য স্পিডবোট এবং মাছধরা ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাসমান অবস্থায় ১২ জনকে উদ্ধার করে। সে সময় স্পিডবোটের পাঁচজন যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে অগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ হওয়া সেই পাঁচজনের মরদেহ কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে বলে জানান নদী বন্দর কর্মকর্তা।

বার্তা বাজার/কে.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর